বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরানোর লক্ষ্যে ফেইসবুকের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই আন্দোলন চলছে। শনিবার কমন সেনস মিডিয়া’র প্রধান নির্বাহী জিম স্টায়ার জানান, খুব শীঘ্রই প্রধান ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কটে যোগ দিতে আহবান জানাবে ‘স্টপ হেইট ফর প্রফিট’ প্রচারণা। -- খবর রয়টার্সের।
এ মাসের শুরুতে আয়োজিত এই প্রচারণায় এখন পর্যন্ত যোগ দিয়েছে ১৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মোবাইল জায়ান্ট ভেরাইজন কমিউনিকেশনস, ইউনিলিভার, চকোলেট ব্র্যান্ড হার্শিজ, কোমল পানীয় ব্র্যান্ড কোকো-কোলা ও পেপসিকো’র মতো খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান। জুলাই মাসে ফেইসবুক প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন না প্রচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই প্রচারণার আয়োজক ছয় সংস্থার এক জোট। ওই ছয় সংস্থার মধ্যে অ্যান্টিডিফেমেশন লিগ, ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ কালারড পিপল, স্লিপিং জায়ান্টস এবং কালার অফ চেঞ্জের মতো সংস্থা রয়েছে।
“পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি।” – বলেছেন স্টায়ার। ফ্রি প্রেস-এর সহ-প্রধান নির্বাহী জেসিকা গনজালেস জানিয়েছেন, বৈশ্বিক প্রচারণার পাশাপাশি আরও মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কটে শামিল হতে আহবান জানাবেন তারা।
এরইমধ্যে বয়কটের মুখে প্রশ্নবিদ্ধ পোস্টে লেবেল সাঁটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেইসবুক। শুক্রবার এক লাইভস্ট্রিমে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন আয়োজকরা।
এ প্রসঙ্গে গনজালেস বলেছেন, “তারা যদি মনে করেন, তাদের শুক্রবারের কাজটুকুই যথেষ্ট, তাহলে তারা ভুল করছেন। আমাদের হেলাফেলার নীতি দরকার নেই, বিস্তৃত নীতি প্রয়োজন।”
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রচারণা শুরু হলে ফেইসবুককে বেশ বড় মাপের বিজ্ঞাপনী মুনাফা হারাতে হবে। তবে, এ-ও ঠিক এতে খুব বড় কোনো আর্থিক প্রভাব পড়বে না।
শুক্রবার ইউনিলিভার বিজ্ঞাপন বন্ধের ঘোষণা দেয়। পরে গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা রিচার্ড গ্রিনফিল্ড অফ লাইটশেড পার্টনারস জানায়, বছরে আনুমানিক ২৫ কোটি ডলার ফেইসবুক বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচ করে ইউনিলিভার, বিজ্ঞাপন বন্ধের সিদ্ধান্তে ওই মোট খরচের মাত্র ১০ শতাংশের উপর প্রভাব পড়বে।
স্টায়ার জানিয়েছেন, ইউনিলিভার ও হন্ডাকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বৈশ্বিকভাবে ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে আহবান জানানো হবে।
বছরে বিজ্ঞাপন বিক্রি থেকে ফেইসবুকের আয় সাত হাজার কোটি টাকা। এই আয়ের এক চতুর্থাংশ আসে ইউনিলিভারের মতো বড় প্রতিষ্ঠান থেকে, অধিকাংশই আসে ছোট ব্যবসা থেকে।
আরও খবর: