হাইব্রিড বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের প্লেন প্রযুক্তি বানাতে এক হয়েছে শিল্প উৎপাদন খাতে ইউরোপের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান সিমেন্স, প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফরাসী প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস আর বিলাসবহুল গাড়ি ও প্লেন ইঞ্জিন পণ্য নির্মাতা ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রোলস-রয়েস। পরিবেশবান্ধব এভিয়েশন খাত বানানোর লক্ষ্যের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Published : 28 Nov 2017, 11:02 PM
‘ই-ফ্যান এক্স’ নামের এই প্রকল্পে প্রথমে একটি বিএই ১৪৬ এয়ারক্রাফটে তিনটি জেট ইঞ্জিনের সঙ্গে একটি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন রাখা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২০ সালের মধ্যে এই প্লেনের প্রদর্শনী সংস্করণ উড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে আনার লক্ষ্যটা ২০৩০ সালে।
এভিয়েশন খাতে দূষণ কমাতে ইইউ থেকে চাপ আসার পর প্রতিষ্ঠানগুলো বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন বানানোর দিকে ঝুঁকছে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই প্রকল্পের প্রতিটি অংশীদার লাখ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করবে। প্রকল্পের এক মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো হাইব্রিড প্রযুক্তি বানাচ্ছে কারণ পুরো বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট বানানো এখনও অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে ব্যাটারিগুলোর ভর আর বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ভর মিলে পুরো বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন বানানোর সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে।
এয়ারবাস-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পল এরেমেনকো বলেন, “ভবিষ্যৎ এভিয়েশন খাতে প্রযুক্তির জন্য আমরা হাইব্রিড-বৈদ্যুতিক প্রপালশন-কে একটি পছন্দসই প্রযুক্তি হিসেবে দেখছি।”
ই-ফ্যান এক্স প্লেনের পেছনে বৈদ্যুতিক জেনারেটর সরবরাহ করবে রোলস-রয়েস।