ব্রিটিশ এয়ারওয়েইজ-এর কম্পিউটার সিস্টেম ঠিক করতে এবং যাত্রীদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রতিষ্ঠানটিকে আলোচনায় ডাকতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
Published : 30 May 2017, 09:11 PM
এক নির্বাচনী প্রচারণাকালে মে বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ যে যারা যাত্রা করছেন অবশ্যই তাদের জন্য ব্রিটিশ এয়ারওয়েইজ-এর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পন্থা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কম্পিউটার সিস্টেম ঠিক করা এবং যাত্রীরা যেমন আশা করেন তেমন সেবা দেওয়ার বিষয়টি আস্বস্ত করা ব্রিটিশ এয়ারওয়েইজ-এর দায়িত্ব।”
শনিবার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের এক সমস্যায় বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাদের কল সেন্টার আর ওয়েবসাইটও। এ ঘটনায় ইউরোপের অন্যতম ব্যস্ত এয়ারপোর্ট হিথ্রো আর গ্যাটউইক থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় বিএ, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
সোমবার থেকে এয়ারলাইনটি স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে হিথ্রো আর গ্যাটউইক থেকে ৯৫ শতাংশের বেশি ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি, কয়েকটি স্বল্প দূরুত্বের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বিএ প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রুজ বলেন, এই সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে শনিবার সকালে ঘটা পাওয়ার সার্জ, যা বিএ’র ফ্লাইট ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এটি এতই শক্তিশালী ছিল যে ব্যাক-আপ ব্যবস্থাকেও নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
তিনি বলেন, “এই বিপর্যয় শেষ হলে, আমরা কী কারণে এমনটা হল তা নিয়ে একটি পুরো তদন্ত চালাব, আর এটি যাতে আর কখনও না হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেব।”
কয়েকজন যাত্রী তাদের ফ্লাইট না পেয়ে এয়ারপোর্টের মেঝেতে বা লাগেজ ট্রলিতে শুয়ে এই সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়েছেন, এমন ছবি অনলাইন সাইট ও সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছে।