এ ছাড়া, ক্রিপ্টো ব্যবসা চালানোর জন্য বিভিন্ন ভিএএসপি’কে নাইজেরীয় সংস্থা এসইসি’র কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার শর্তও রয়েছে এ নীতিমালায়।
Published : 24 Dec 2023, 12:22 PM
ক্রিপ্টোমুদ্রা লেনদেনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘সিবিএন’।
সর্বশেষ সার্কুলারে ব্যাংকটি বলেছে, গোটা বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থায় চলমান প্রবণতা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে পৃথক নীতিমালা রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রিপ্টো সম্পদ লেনদেন নিষিদ্ধ করেছিল ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ নাইজেরিয়া (সিবিএন)’, যেখানে আর্থিক জালিয়াতি ও জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট আর্থিক ঝুঁকির মতো বিষয়গুলোকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, গত বছরের মে মাসে ডিজিটাল সম্পদ নিয়ে নীতিমালা প্রকাশ করেছে নাইজেরিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, ক্রিপ্টো সম্পদে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ও এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মধ্যে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছিল আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটি।
২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত সার্কুলারে সিবিএন বলেছে, চলমান বৈশ্বিক প্রবণতা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল সম্পদ সরবরাহকারী সেবা অর্থাৎ ‘ভিএএসপি’র কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টোমুদ্রা ও ক্রিপ্টো সম্পদের বিষয়টিও।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কীভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট খোলা এবং নির্ধারিত সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও পরিষেবা প্রদান করা উচিৎ। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের (ফরেক্স) আর্থিক প্রবাহ ও বাণিজ্যের চ্যানেল হিসেবে কাজ করার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে এ নির্দেশিকায়।
এ ছাড়া, ক্রিপ্টো ব্যবসা চালানোর জন্য বিভিন্ন ভিএএসপি’কে নাইজেরীয় এসইসি’র কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার শর্তও রয়েছে এ নীতিমালায়।
“এ নীতিমালার শুরু থেকেই উল্লেখ রয়েছে, ভার্চুয়াল/ডিজিটাল সম্পদ নিয়ে কাজ করা প্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট ব্যাতীত ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোনো ব্যক্তি বা সত্ত্বাকে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেবে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলছে, নীতিমালায় এখনও ক্রিপ্টো সম্পদ লেনদেন বা রাখার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার তরুণ ও প্রযুক্তি সমর্থক জনগণের মধ্যে ইতিবাচকভাবেই ক্রিপ্টোমুদ্রা ব্যবহারের নজির মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে, আর্থিক মারপ্যাঁচ এড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানির ‘পিয়ার-টু-পিয়ার ট্রেডিং’ সেবা।
সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ব্লকচেইন গবেষণা কোম্পানি ‘চেইনালিসিস’ বলেছিল, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন অর্থবছরে নাইজেরিয়ায় ক্রিপ্টো লেনদেনের মাত্রা নয় শতাংশ বেড়ে গিয়ে ঠেকেছে পাঁচ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারে।