বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি ‘ক্যানালিস রিসার্চ’-এর এ গবেষণা অনুসারে, এসব পিসি থেকে উৎপন্ন ই-বর্জ্যের আনুমানিক ভর ৪৮ কোটি কেজি, যা তিন লাখ ২০ হাজার গাড়ির সমান।
Published : 23 Dec 2023, 01:04 PM
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে মাইক্রোসফটের সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৪ কোটি পার্সোনাল কম্পিউটারকে ভাগাড় বা ল্যান্ডফিলে পাঠাতে হবে --এমনই উঠে এসেছে গবেষণায়।
বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি ‘ক্যানালিস রিসার্চ’-এর এ গবেষণা অনুসারে, এইসব পিসি থেকে উৎপন্ন ইলেকট্রনিক বর্জ্যের আনুমানিক ভর ৪৮ কোটি কেজি, যা তিন লাখ ২০ হাজার গাড়ির সমান।
এর মধ্যে অনেক পিসিতে অপারেটিং সিস্টেমটির সমর্থন বন্ধ করার পর বেশ কয়েক বছর কার্যকারিতা ধরে রাখার সক্ষমতা থাকলেও ক্যানালিস সতর্কবার্তা দিয়েছে, নিরাপত্তা আপডেট না আসার কারণে ওইসব ডিভাইসের চাহিদা কমে যেতে পারে।
সম্প্রতি মাইক্রোসফট এমন এক পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে ২০২৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বার্ষিক ফি’র বিনিময়ে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমওয়ালা ডিভাইসগুলোয় নিরাপত্তা আপডেট দেওয়া হবে। তবে, ওই ফি কতো হতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলেনি মাইক্রোসফট।
ক্যানালিস বলেছে, উইন্ডোজ ১০-এর জন্য মাইক্রোসফটের নতুন এ প্যাকেজের মূল্য অতীতের মতো হলে নতুন পিসিতে সেটি স্থানান্তর করা ব্যবহারকারীর জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক হতে পারে। তবে, এর ফলে অনেক বেশি সংখ্যক পুরোনো পিসিফেলে দিতে হতে পারে, যার ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বেড়ে যাবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অক্টোবর নাগাদ উইন্ডোজ ১০ সমর্থন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোসফট।
আশা করা হচ্ছে, পিসি’র জন্য পরবর্তী প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেমে যুক্ত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। সেটি হলে মন্দার মুখে পড়া পিসি বাজারে বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে এতে।
উইন্ডোজ ১১-এর সঙ্গে বেমানান ডিভাইসগুলো ভাগাড়ে পাঠালে তা পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট।
বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির মোটর এমনকি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও কম্পিউটার ও ডেটা স্টোরেজ সার্ভারে ব্যবহৃত হার্ড ড্রাইভ পুনর্ব্যবহার করা হয়।
“এ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ কম্পিউটারকে চুম্বকে পরিণত করলে তা বিদ্যুচ্চালিত যান ও উইন্ড টার্বাইনের মতো টেকসই প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার মাধ্যমে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।” --বলেন মার্কিন রিসাইকল কোম্পানি ‘নভিয়ন ম্যাগনেটিক্স’-এর প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা পিটার আফিউনি।
তিনি আরও যোগ করেন, প্রায়শই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিভিন্ন হার্ড ড্রাইভ ফেলে দেওয়া হয় এবং এ ফলে এমন ই-বর্জ্য তৈরি হয় যার ভূচৌম্বকীয় প্রভাবও থাকে।
মার্কিন ব্যাটারি রিসাইক্লিং কোম্পানি ‘রেডউড ম্যাটিরিয়ালস’ বলছে, লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল ও কপারের মতো ধাতু পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ব্যাটারি রিসাইক্লিং খুবই কার্যকর পদ্ধতি।