আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় ‘ও১’ মডেলটি ৮৩ শতাংশ স্কোর করেছে, যেখানে এর আগের মডেল ‘জিপিটি-৪ও’ কেবল ১৩ শতাংশ স্কোর করেছিল।
Published : 14 Sep 2024, 03:33 PM
কঠিন সব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশ্নের উত্তর প্রক্রিয়ায় আরও সময় ব্যয় করার মতো নকশা করা এআই মডেলের সিরিজ ‘স্ট্রবেরি’ চালু করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ওপেনএআই।
মাইক্রোসফট সমর্থিত কোম্পানিটি বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মডেলগুলো জটিল কাজে যুক্তি দিতে পারে। পাশাপাশি বিজ্ঞান, কোডিং ও গণিতের বেলায় আগের মডেলগুলোর তুলনায় আরও কঠিন সমস্যা সমাধান করতে পারে বলে এক ব্লগ পোস্টে বলেছে ওপেনএআই।
কোম্পানির অভ্যন্তরে প্রজেক্টের নাম স্ট্রবেরি ব্যবহার করা হলেও বৃহস্পতিবার মডেলগুলোকে ‘ও১’ এবং ‘ও১ মিনি’ বলে ঘোষণা দিয়েছে ওপেনএআই। বৃহস্পতিবার থেকেই এটি চ্যাটজিপিটি ও এপিআই-তে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
ওপেনএআই-এর একজন গবেষক নোয়াম ব্রাউন কোম্পানির মডেলগুলোয় যুক্তির উন্নতির ওপর নজর দিয়ে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর এক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন মডেলগুলো স্ট্রবেরি প্রকল্পের মতোই।
“সাধারণ যুক্তি দিতে পারে এমন এআই মডেল তৈরির জন্য ওপেনএআইয়ে আমাদের প্রচেষ্টার ফল সবাইকে জানাতে পেরে আমার সত্যিই দারুণ লাগছে।” – লিখেছেন ব্রাউন।
ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় ‘ও১’ মডেলটি ৮৩ শতাংশ স্কোর করেছে, যেখানে এর আগের মডেল ‘জিপিটি-৪ও’ কেবল ১৩ শতাংশ স্কোর করেছিল।
বিজ্ঞানবিষয়ক বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিংয়ের প্রশ্নে এটি কর্মক্ষমতা এতটাই বাড়াতে পেরেছে যে, একে পিএইচডি মানব গবেষকের সমতূল্য বলা যায় বলে দাবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিটির।
মডেলগুলো ‘চেইন-অফ-থট’ যুক্তি হিসেবে পরিচিত এক কৌশল ব্যবহার করে এমন স্কোর করেছে বলে পোস্টে লিখেছেন ব্রাউন। কৌশলটি জটিল সমস্যাগুলোকে ছোট, যৌক্তিক পদক্ষেপে ভেঙ্গে সমাধান করার সঙ্গে জড়িত।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, জটিল সমস্যার বেলায় প্রম্পটিং কৌশল ব্যবহার করলে এআই মডেলের কার্যকারিতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষমতাটিই ওপেনএআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করেছে, যাতে ব্যবহারকারীর বাড়তি অনুরোধ ছাড়াই মডেলগুলো একটি সমস্যাকে ধাপে ধাপে ভাগ করে নিতে পারে।
“আমরা এ মডেলগুলোকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা উত্তর দেওয়ার আগে চিন্তাভাবনা করার জন্য আরও বেশি সময় নেবে, অনেকটা মানুষের মতোই। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চিন্তার প্রক্রিয়াকে পরিমার্জিত করতে, বিভিন্ন কৌশলের ব্যবহার ও নিজেদের ভুল চিনতে শেখে মডেলগুলো।” – লিখেছে ওপেনএআই।
রয়টার্সই প্রথম ওপেনএআইয়ের রিজনিং প্রজেক্টের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছিল। সে সময়, ২০২৩ সালের নভেম্বরে এর নাম ছিল ‘কিউ*’। পরে, গত জুলাই মাসে প্রকল্পটিকে ‘স্ট্রবেরি’ নাম দেওয়ার কথা উঠে আসে য়টার্সের প্রতিবেদনে।