মুভি জেন বিভিন্ন টেক্সট ইনপুট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নতুন ভিডিও বানাতে এমনকি এরইমধ্যে ধারণ করা কোনো ফুটেজ বা স্থির ছবি এডিট করতে পারে।
Published : 07 Oct 2024, 03:35 PM
সাউন্ড’সহ এইচডি ভিডিও ফুটেজ তৈরি করা যাবে, এমনই একটি এআই চালিত ভিডিও জেনারেটর আনার ঘোষণা দিয়েছে মেটা।
নতুন ভিডিও টুলটির নাম ‘মুভি জেন’, যার প্রবেশাধিকার এখনও সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। এদিকে, কয়েক মাস আগেই নিজেদের ‘টেক্সট-টু-ভিডিও’ মডেল ‘সোরা’ উন্মোচন করেছে এআই খাতের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি ওপেনএআই।
মুভি জেন বিভিন্ন টেক্সট ইনপুট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নতুন ভিডিও বানাতে এমনকি এরইমধ্যে ধারণ করা কোনো ফুটেজ বা স্থির ছবি এডিট করতে পারে।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে বলেছে, এইসব ভিডিও’তে যোগ করা অডিও ফাইলও এআই দিয়ে তৈরি, যেখানে ভিডিও’র দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাকৃতিক শব্দ, সাউন্ড ইফেক্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বসানো হয়। এমনকি ভিডিওগুলো ভিন্ন ভিন্ন ‘অ্যাসপেক্ট রেশিও’তেও তৈরি করা যাবে।
মেটা বলছে, বিভিন্ন নতুন ভিডিও ক্লিপ তৈরির পাশাপাশি মুভি জেন ছবি অথবা এরইমধ্যে ধারণ করা কোনো ভিডিও’র বিভিন্ন খুঁটিনাটি বদলে কাস্টম ভিডিও’ও তৈরি করতে পারে। এদিকে, কোম্পানির শেয়ার করা উদাহরণে একজন নারীর মাথার স্থির ছবির সঙ্গে যোগ করা ভিডিও’তে দেখা গেছে, তিনি কুমড়ার ক্ষেতে বসে একটি পানীয়’তে চুমুক দিচ্ছেন।
এ ছাড়া, মুভি জেন দিয়ে এরইমধ্যে ধারণকৃত ফুটেজ এডিট করা, ভিডিও’র স্টাইল ও ট্রানজিশন পরিবর্তন এমনকি আগে ভিডিও’তে ছিল না, এমন বস্তুও যোগ করার সুবিধা মিলবে।
মূলধারার প্রযুক্তিতে বিভিন্ন শক্তিশালী এআই ইমেজ ও ভিডিও জেনারেটর চালু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এ প্রযুক্তিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বিভিন্ন এআই কোম্পানি।
গত ছয় মাসেই বিভিন্ন ছোট স্টার্টআপ কোম্পানির পাশাপাশি একই ধরনের টুল নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে গুগল ও ওপেনএআইয়ের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিকে।
ওপেনএআইয়ের ‘সোরা’র প্রথম ঘোষণা ফেব্রুয়ারিতে এলেও এখনও তা সবার জন্য চালু হয়নি। এমনকি এ সপ্তাহে, গুগলে কাজ করতে ওপেনএআই ছেড়ে চলে গেছেন ভিডিও জেনারেটরটি নিয়ে কাজ করা কোম্পানির সহকারী প্রধান।
মেটার পণ্য প্রধান ক্রিস কক্স থ্রেডসে লিখেছেন, কোম্পানি শিগগিরই এই পণ্য বাজারে আনার জন্য প্রস্তুত নয় কারণ এটি এখনও খরচসাপেক্ষ ও এতে ভিডিও বানাতে অনেক সময় লাগে।
এদিকে, চলচ্চিত্র নির্মাতা, ফটোগ্রাফার, শিল্পী, লেখক এবং অভিনেতাদের মতো সৃজনশীলরাও উদ্বিগ্ন যে, এ ধরনের এআই জেনারেটর কীভাবে তাদের জীবিকায় প্রভাব ফেলবে।
এরইমধ্যে বেশ কিছু বিক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল এআই প্রযুক্তি। এর মধ্যে রয়েছে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড- আমেরিকান ফেডারেশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস (স্যাগ-আফট্রা) ও ‘রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা (ডব্লিউজিএ) কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত হলিউডের ঐতিহাসিক ধর্মগটের ঘটনাটিও।