এ ছোট ডিভাইসগুলোর খারাপ দিক হল এগুলো সহজেই হারিয়ে যেতে পারে বা চুরি হয়ে যেতে পারে। ফলে, ফ্ল্যাশ ড্রাইভের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে বেহাত হওয়ার ঝুঁকিতে।
Published : 30 Aug 2024, 12:58 PM
ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, যা ‘মেমরি স্টিক’, ‘পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভ’ বা ‘পেন ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত, ফাইল সংরক্ষণ করার সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক উপায়।
এ ছোট ডিভাইসগুলোর খারাপ দিক হল, এগুলো সহজেই হারিয়ে যেতে পারে বা চুরিও হতে পারে। ফলে, ফ্ল্যাশ ড্রাইভের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
এ ঝুঁকি থেকে রেহাই পাওয়ার ভালো উপায় হল ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ‘এনক্রিপট’ করা বা এতে পাসওয়ার্ড যোগ করা। এটি নিশ্চিত করে ফাইলগুলো নিরাপদে আছে এবং ডিভাইসটি ভুল মানুষের হাতে পড়লেও সহজে তথ্য দেখতে পারবে না।
উইন্ডোজ থেকে ফ্ল্যাশ ড্রাইভে পাসওয়ার্ড যোগ করার বিষয়ে নির্দেশনামূলক লেখা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে এ পদ্ধতি কিছুটা বদলায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে উইন্ডোজ ব্যবহার করে এটি করবেন।
১. প্রথমেই ইউএসবি পোর্ট ও কেবলের মাধ্যমে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ও কম্পিউটারের সংযোগ দিন।
২. এবারে ‘ফাইল এক্সপ্লোরার’ অপশনে ক্লিক করুন। এটি খুঁজে না পেলে কিবোর্ডের উইন্ডোজ বোতাম এবং ‘ই’ একসঙ্গে চাপুন।
৩. ফ্ল্যাশ ড্রাইভের ওপরে রাইট ক্লিক করে ‘বিটলকার’ বেছে নিন ও অ্যাপটি চালু করুন। ‘উইন্ডোজ ১০’, ‘উইন্ডোজ ১১প্রো’, ‘এন্টারপ্রাইজ’, ‘এডুকেশন’ – এসব অপারেটিং সিস্টেমে চলা পিসিতে বিটলকার ডিফল্টভাবেই রয়েছে। এবার বিটলকার চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।
৪. এ পর্যায়ে ফ্ল্যাশ ড্রাইভের জন্য একটি শক্ত পাসওয়ার্ড বেছে নিন।
৫. কীভাবে ‘রিকভারি কি’ সংরক্ষণ করবেন তা বেছে নিন৷ ফ্ল্যাশ ড্রাইভের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিকভারি কি ড্রাইভের তথ্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।
৬. এবার যেসব তথ্য এনক্রিপট করতে চান তা বেছে নিন। পুরো ড্রাইভ অথবা ব্যবহৃত ডিস্ক স্পেস বেছে নিতে পারেন।
৭. ‘স্টার্ট এনক্রিপটিং’ অপশনে ক্লিক করুন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ও পিসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবেন না।
৮. এনক্রিপ্ট করার প্রক্রিয়া শেষ হলে, একটি নোটিফিকেশন পাবেন। নোটিফিকেশন আসার পরে পিসি থেকে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বিচ্ছিন্ন করতে পারেন।
এরপর থেকে ফ্ল্যাশ ড্রাইভের তথ্য দেখতে ব্যবহারকারীর বেছে নেওয়া পাসওয়ার্ড দিতে হবে।