মাইক্রনের বিরুদ্ধে চীনের এই পদক্ষেপকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে চীনের প্রবেশাধিকার বন্ধে ওয়াশিংটনের নেওয়া উদ্যোগের চীনা প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Published : 24 May 2023, 05:24 PM
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি মাইক্রনের তৈরি মেমরি চিপ বিক্রির ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন মিত্রদেশ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
মঙ্গলবার এই আলোচনার বিষয়টি জানান মার্কিন সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মেমরি চিপ নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রনের বিরুদ্ধে চীনের সাইবার নিয়ন্ত্রকদের নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান উত্তেজনার সর্বশেষ পরিস্থিতি হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
“মাইক্রনের বিরুদ্ধে চীনা সরকারের ঘোষিত পদক্ষেপের বাস্তবে কোনো ভিত্তি নেই। আর এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগের একটি প্রচেষ্টা।” --বলেন শুমার।
“আমি ঘনিষ্টভাবে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে চীনা সরকারের কাছে এটি নিশ্চিত করতে চাই, এমন ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য ও নিষ্ফলা।”
শুমার আরও যোগ করেন, মাইক্রনের ওপর চীনা সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় তারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক কমিউনিটির পাশাপাশি নিজেদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন।
এই মাসের শুরুতে চীন থেকে প্রতিযোগিতা বন্ধের উদ্দেশ্যে ও মার্কিন সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করে প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা’সহ তাইওয়ানের ওপর দেশটির চলমান হুমকির মতো বিষয়গুলো তুলে ধরতে নতুন এক প্রচেষ্টা চালান শুমার।
“চীনের পদক্ষেপ যে কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির ওপর কর্তৃত্ব চালানোর উদ্দেশ্যে তৈরি। এটি ‘মাফিয়ার মতো’ এক আইনি ব্যবস্থা, যা বিভিন্ন মার্কিন কোম্পানিকে ‘বুলিয়িংয়ের’ শিকার বানায়। যুক্তরাষ্ট্র, এর অংশীদার ও মিত্রদের অবশ্যই এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।” --রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস অ্যাফেয়ার্স কমিটি’ প্রধান ও রিপাবলিকান দলের আইন প্রণেতা মাইকেল ম্যাককল।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে।
রোববার চীনের সাইবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, নিজস্ব নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে মাইক্রন। পাশাপাশি, দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত ব্যবস্থায় মার্কিন এই কোম্পানির পণ্য কেনাও বন্ধ করবে তারা।
সোমবার মাইক্রন পূর্বাভাস দেয়, আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় কোম্পানির আয়ও পাঁচ শতাংশের কম থেকে বেশি পর্যন্তও কমতে পারে।
মাইক্রনের বিরুদ্ধে চীনের এই পদক্ষেপকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে চীনের প্রবেশাধিকার বন্ধে ওয়াশিংটনের নেওয়া উদ্যোগের চীনা প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
‘চীনকে একঘরে না করে বরং তাদের ঝুঁকি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানো হবে’ এমন সিদ্ধান্তে জি৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলো রাজী হওয়ার একদিন পরই এই ঘোষণা এলো। অন্যদিকে, চীনে চিপজাতীয় পণ্য রপ্তানি সীমিত করার জন্য মিত্র দেশগুলোকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।