আরও সাড়ে ৭ হাজার স্যাটেলাইটের পথ খুলল স্পেসএক্সর

এর আগে স্পেসএক্সের অতিরিক্ত ৩০ হাজার স্যাটেলাইট বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেশ কিছু কোম্পানি, এমনকি সরকারি সংস্থা নাসাও।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2022, 03:40 PM
Updated : 4 Dec 2022, 03:40 PM

ইলন মাস্কের ব্রডব্যান্ড সেবা স্টারলিংকের সাড়ে সাত হাজার দ্বিতীয় প্রজন্মের স্যাটেলাইট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

২০২০ সালে  ‘ফেডারেল কমিউনিকেশন্স কমিশন’ (এফসিসি)’র কাছে প্রথমে ২৯ হাজার নয়শ ৮৮টি দ্বিতীয় প্রজন্মের স্যাটেলাইট স্থাপনের আবেদন করেছিল স্পেসএক্স। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার স্যাটেলাইট তৈরি, স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে তারা। তবে, ভূপৃষ্ঠ থেকে যথাক্রমে পাঁচশ ২৫ কিলোমিটার, পাঁচশ ৩০ কিলোমিটার ও পাঁচশ ৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় এগুলো বসাতে পারবে কোম্পানিটি।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্থাপনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবহারকারীর কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পারবে স্পেসএক্স। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, যারা দুর্গম স্থানে বাস করেন তারাও এই সুবিধা পাবেন।

মহাকাশে আপাতত স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট স্থাপনের সংখ্যায় লাগাম টেনে ধরতে চায় এফসিসি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে কক্ষপথে বিষ্ফোরণ ও মহাকাশে নিরাপত্তার কথা।

সংস্থাটি বলছে, এই সংখ্যা সীমিত করায় মহাকাশে নিরাপদ পরিবেশ থাকবে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য স্যাটেলাইটও বাধাপ্রাপ্ত হবে না।

এর আগে মহাকাশে স্পেসএক্সের অতিরিক্ত ৩০ হাজার স্যাটেলাইট বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেশ কিছু কোম্পানি, এমনকি সরকারি গবেষণা সংস্থা নাসাও। এরইমধ্যে কোম্পানিটিকে মহাকাশে ১২ হাজার প্রথম প্রজন্মের স্টারলিংক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অনুমতি দিয়েছে এফসিসি।

কমিশনকে পাঠানো এক চিঠিতে নাসা জানিয়েছে, কীভাবে তাদের নিজস্ব গবেষণা ও যাত্রীবাহী মহাকাশ মিশনে অতিরিক্ত স্যাটেলাইট স্থাপনের সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, বিশাল সংখ্যক স্টারলিংক স্যাটেলাইট মহাকাশে সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি উৎক্ষেপণের সময়ও কমিয়ে দিতে পারে। 

এফসিসি স্পেসএক্সের ‘আবেদনের বাকি অংশের কার্যক্রম’ আপাতত স্থগিত রাখলেও সামনে তারা আরও স্যাটেলাইট স্থাপনের অনুমোদন দিতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে এনগ্যাজেট।

এর আগে স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক বলেছেন, দ্বিতীয় প্রজন্মের স্টারলিংক স্যাটেলাইট আগেরগুলোর তুলনায় আকারে অনেক বড় হবে। আর এগুলোর উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজন কোম্পানির স্টারশিপ রকেট।

এইসব স্যাটেলাইট আকারে বড় হওয়ার একটি কারণ হলো এর বিশাল অ্যান্টেনা। মোবাইল টাওয়ারের মতোই পৃথিবীর বিভিন্ন ফোনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সক্ষমতা থাকবে এতে।

এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগাস্টে ঘোষিত টি-মোবাইল ও স্পেসএক্সের যৌথ কার্যক্রম নির্ভর করবে স্টারলিংকের দ্বিতীয়-প্রজন্মের স্যাটেলাইটের ওপর।

কোম্পানির লক্ষ্য হলো, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিভিন্ন ‘মোবাইল ডেড জোন’ বন্ধ করা। আর যেখানেই পরিষ্কার আকাশ রয়েছে, সেখানেই সংযোগের সুবিধা দেওয়া, এমনকি তা সমুদ্রের মাঝখানে হলেও।