নির্বাচনী অনুদানের আশায় মাস্কের সঙ্গে দেখা করলেন ট্রাম্প

বাইডেনের বিপরীতে নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থ যোগানে নিজের সম্পদও ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের। তবে, প্রচারণায় নিজের পকেট থেকে অর্থ খরচের বিষয়ে বরাবরই কৃপণতা দেখিয়েছেন তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2024, 10:59 AM
Updated : 6 March 2024, 10:59 AM

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে আরও বেশি অনুদান প্রত্যাশা করছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, যার জন্য সম্প্রতি শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে বলেছে, গেল রোববার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলীয় শহর পাম বিচে দেখা করেছেন এ দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি।

এদিকে, নিজের নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে অর্থ যোগাড়ে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরপরই ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ এল।

গত মাসে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নিজের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন বাইডেন। সে তুলনায়, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে তিন কোটি ডলারের কিছু বেশিতে।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন আইনি ফি বাবদও বিশাল অঙ্ক খরচ করতে হয়েছে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের। কেবল গত বছরই ট্রাম্প সমর্থকদেরকে আইনি ফি গুণতে হয়েছে পাঁচ কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি।

ট্রাম্পকে মাস্ক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা এক সূত্র টাইমসকে বলেছে, মার্কিন এ ধনকুবেরের বড় একজন ভক্ত ট্রাম্প। আর মাস্কের সঙ্গে একক বৈঠকে বসা নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

তবে, মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারণায় অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

বড় আর্থিক যোগানদাতা হিসেবে মাস্ক একজন চমক দেখানো দাতা হতে পারেন। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনতে তিনি চার হাজার চারশ কোটি ডলার খরচ করলেও রাজনৈতিক কারণে খুব অল্পই খরচ করতে দেখা গেছে সম্প্রতি অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের কাছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির খেতাব হারানো মাস্ককে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘ওপেনসিক্রেটস’-এর তথ্য অনুসারে, ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সর্বমোট সাত লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ ডলার খরচ করেছেন মাস্ক।

সে তুলনায়, ইলিনয়ের গভর্নর জে.বি. প্রিটজকারকে সরানোর লক্ষ্যে কেবল ২০২২ সালেই পাঁচ কোটি ডলার খরচ করেছেন শিপিং খাতের শীর্ষ ধনকুবের রিচার্ড ‘ডিক’ উইহেলিন ও তার স্ত্রী এলিজাবেথ ‘লিজ’ উইহেলিন।

তবে, বাইডেনের বিপরীতে নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থ যোগানে নিজের সম্পদও ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের। অবশ্য, নির্বাচনী প্রচারণায় নিজের পকেট থেকে অর্থ খরচের বিষয়ে বরাবরই কৃপণতা দেখিয়েছেন তিনি।

এদিকে, জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট এক মামলার রায়ে ট্রাম্পকে ৪৫ কোটি চারশ কোটি ডলার জরিমানা করেছে নিউ ইয়র্কের আদালত। এ জরিমানার মাত্রা কমিয়ে আনতে এখনও আপিল করে যাচ্ছেন তিনি।