টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ককে ‘প্ল্যাটফর্ম ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রে মানবাধিকার রক্ষার’ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার টার্ক।
শনিবার এক খোলা চিঠিতে টার্ক এই বার্তা দেওয়ার আগে, শুক্রবার কোম্পানির প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করেছেন মাস্ক।
এর পর বিভিন্ন কর্মীর টুইটে উঠে এসেছে, প্ল্যাটফর্মে মানবাধিকার রক্ষার কাজে নিয়োজিত বিশেষ দলটিও আক্রান্ত হয়েছে এতে। এই কার্যক্রমকে ‘আশানুরূপ সূচনা নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন টার্ক।
“টুইটার এমন এক বৈশ্বিক বিপ্লবের অংশ, যা আমাদের যোগাযোগের ধরন বদলে ফেলেছে।” --চিঠিতে লিখেছেন টার্ক।
“তবে, আমাদের ডিজিটাল পাবলিক স্কয়ার ও এতে টুইটারের ভূমিকা সম্পর্কে বেশ উদ্বেগ ও আশংকা নিয়ে লিখছি আমি।”
“অন্যান্য কোম্পানির মতোই, প্ল্যাটফর্ম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বোঝার পাশাপশি সেগুলো মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে হবে টুইটারকে।” --যোগ করেন তিনি।
“মানবাধিকারের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার ও বিবর্তনের একটি রোডম্যাপ তৈরি করে দিতে পারে।”
“সংক্ষেপে বললে, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনার নেতৃত্বে যেন প্ল্যাটফর্মটির ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবারের ছাঁটাইয়ের কারণে মাস্কের অধীনে টুইটারের ভবিষ্যত প্রশ্নে বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার একটি সপ্তাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি।
শুক্রবার মাস্ক টুইট করেছেন, ‘আর্থিক আয়ে বিশাল ধসের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে টুইটার।