“শীর্ষ ধনকুবেরদের সাবেক স্ত্রী, যারা নিজের সাবেক স্বামীকে ঘৃণা করেন, তাদের উচিৎ ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি মৃত্যুর কারণ’-এর তালিকায় নাম লেখানো,”-- ৬ মার্চে এক্সের এক পোস্টে বলেছেন মাস্ক।
Published : 22 Mar 2024, 03:43 PM
ম্যাকেঞ্জি স্কটের পরিচয় এখন দানশীল ধনকুবের হিসাবে। তার পরিচয় টানতে সাবেক স্বামী জেফ বেজোসের নামেএখন আর কেউ নেয় না। ব্যতিক্রম কেবল একজন - ইলন মাস্ক।
ম্যাকেঞ্জি স্কটের পরোপকারের খুব একটা ভক্ত নন ইলন মাস্ক। তবে, অনেকের জন্য স্কটের অনুদান তাদের জীবন ও কাজের ক্ষেত্র বদলে দিচ্ছে। আর এই নিয়ে ক্রমাগত বকে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী।
৩৬১টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে ৬৪ কোটি ডলার দিচ্ছেন বলে মঙ্গলবারে ঘোষণা করেছেন স্কট। এ অনুদান ২০২৩ সালে তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া ২৫ কোটি ডলারের দ্বিগুণেরও বেশি বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে বিজনেস ইনসাইডার।
স্কটের অনুদান থেকে সুবিধা পাওয়া এমন একজন হলেন ব্রায়ান ওয়ালাচ। ৪৩ বছরের ওয়ালাচের রয়েছে অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস যা ‘লু গেরিগ’স ডিজিজ’ নামেও পরিচিত। তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, ‘আই অ্যাম এএলএস,’ স্কটের কাছ থেকে ২০ লাখ ডলার পাচ্ছে।
২০১৭ সালে অসুস্থতা ধরা পড়ার পর দুই বছর পর ওয়ালাচ তার স্ত্রী সান্দ্রা আব্রেভায়ার সঙ্গে অলাভজনক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মঙ্গলবার এ সুসংবাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ দম্পতি সামাজিক মাধ্যম এক্সে নিজেদের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ওই ভিডিওতে ওয়ালাচের সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়ার আগে আব্রেভায়াকে আনন্দে চিৎকার করতে দেখা যায়।
This is the moment that we first found out about the amazing grant from Mackenzie Scott and her incredible foundation. I am so proud of the amazing IAA staff and community.
As you will see, disbelief turns into happy tears. Today, I cannot stop smiling. pic.twitter.com/1HyY7I6tb5
— Brian Wallach (@bsw5020) March 19, 2024
“আমরা দুজনেই আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়ি। আমাদের এমন হয়েছে কারণ আমরা জানতাম এ উপহারটি এএলএস সম্প্রদায়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
বারাক ওবামার সাবেক কর্মী ছিলেন ওয়ালাচ পাশাপাশি ছিলেন একজন ফেডারেল ফৌজদারি আইনজীবী। যখন তিনি প্রগ্রেসিভ নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত হন তখন তার বয়স ছিল ৩৭। এ রোগ ধরা পড়ার সময় তাদের সংসারে দ্বিতীয় কন্যা আসে।
“আমি আমার মেয়েদের বড় হতে দেখব না,” ওয়ালাচ ২০১৯ সালের মার্চে মার্কিন কংগ্রেসে এক সাক্ষ্যে বলেছিলেন।
“কোনও নিরাময় নেই। বিষয়টি এমন নয় যে এএলএস নিরাময়যোগ্য নয়, বরং আমরা বছরের পর বছর এএলএসে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সামান্যই অর্থ খরচ করেছি।”
মাস্কের অপমানেও আটকায়নি স্কটের দান
এই মাসের শুরুর দিকে স্কটকে তার পরোপকারি দানের জন্য খোঁটা দিয়েছিলেন মাস্ক।
“শীর্ষ ধনকুবেরদের সাবেক স্ত্রী, যারা নিজের সাবেক স্বামীকে ঘৃণা করেন, তাদের উচিৎ ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি মৃত্যুর কারণ’-এর তালিকায় নাম লেখানো”। ৬ মার্চে এক্সের এক পোস্টে বলেছেন মাস্ক।
ওই পোস্টটি এখন ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে ইনসাইডারের প্রতিবেদনে।
মাস্ক কেন স্কটকেই টার্গেট করলেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে, বৈচিত্র্য ও সমতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রচারণা চালানো ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই মাস্কের আক্রমণের লক্ষ্য।
স্কট নারী স্বাস্থ্য ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দান করেছেন। আর, সাম্প্রতিক এ দানেও তিনি তা অব্যাহত রেখেছেন।
বেজোসের সঙ্গে ২৫ বছর সংসার করার পর ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। সেখান থেকেই তার সম্পদের বড় একটি অংশ এসেছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ স্কট, তিন হাজার আটশ কোটি ডলারের অ্যামাজন শেয়ার পেয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজনেস ইনসাইডার।