ইউরোপিয়ান কমিশন ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, ২০২৫ সাল থেকে সব ধরনের মোবাইল ফোনকে অবশ্যই একটি সর্বজনীন চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করতে হবে।
Published : 03 Jan 2025, 11:16 AM
স্মার্টফোনের চার্জার নিয়ে পাশ হওয়া নতুন আইনের আওতায় এখন ইউরোপজুড়ে মোবাইল ফোন ও ছোট ডিভাইসে ইউএসবি-সি চার্জিং প্রযুক্তির বাধ্যতামূলক ব্যবহার কার্যকর হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র এ আইনের লক্ষ্য হচ্ছে, ই-বর্জ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনা ও বাজারে চার্জার বিভাজন মুছে ফেলা।
ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান কমিশন ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, ২০২৫ সাল থেকে সব ধরনের মোবাইল ফোনকে অবশ্যই একটি সর্বজনীন চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করতে হবে এবং পরে সিদ্ধান্ত হয় এটি ইউএসবি-সি পোর্ট হওয়া উচিত।
ইইউভুক্ত ২৭টি দেশের সদস্যরা ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশনাকে তাদের জাতীয় আইনে একীভূত করার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট টেকস্পট।
এ নির্দেশিকাটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সব ধরনের মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ডিজিটাল ক্যামেরা, হেডফোন, হেডসেট, ভিডিও কনসোল, পোর্টএবল স্পিকার, ই-রিডার, কিবোর্ড, মাউস, পোর্টএবল নেভিগেশন সিস্টেম ও ইয়ারবাডে।
তবে কিছু ডিভাইস রয়েছে, যেগুলোকে এখনও এই আইনের আওতায় আনা হয়নি। যেমন ড্রোন বা ওয়্যারলেস চার্জার। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, এসব ডিভাইসের তালিকাটি ‘যতটা সম্ভব প্রাসঙ্গিক ও আপডেটেড’ রাখতে ‘বাজারের উন্নয়ন, বিভাজন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে’।
প্রযুক্তি শিল্পের সিংহভাগ হার্ডওয়্যার নির্মাতা নিজস্ব ডিভাইসে ইউএসবি-সি চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে; এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল আইফোন নির্মাতা অ্যাপল। এ নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর অ্যাপল কী করে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ই-বর্জ্য কমানোর লক্ষ্যে সকল ফোনের জন্য একই চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা দিতে কাজ করছে বছর দশেক ধরে; কিন্তু আইনটি চূড়ান্ত হয়েছে ২০২২ সালের জুন মাসে।
সিনেট জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে নতুন আইনের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৬০২টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১৩ সদস্য, আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন আটজন।