অনলাইনে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখা বন্ধ করার জনপ্রিয় এক উপায় হয়ে উঠেছে ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো অ্যাড ব্লকিং টুলগুলো।
Published : 28 May 2024, 06:20 PM
অ্যাড ব্লকিং বা ভিডিও’তে বিজ্ঞাপন দেখা বন্ধ করার ব্যবস্থা ঠেকাতে নিজেদের ক্র্যাকডাউনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইউটিউব, যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের ওপর।
সোমবার ব্যবহারকারীদের একটি অংশ অভিযোগ জানায়, তারা অ্যাড ব্লকার সক্রিয় রেখে ইউটিউব ব্যবহার করার সময় ‘অদ্ভুত আচরণ’ লক্ষ্য করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভিডিও শেষ হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ভিডিও চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মিউট হয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগ।
“আমি যখনই ইউটিউবে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছি, তখনই কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না,” ইউটিউবের রেডিট পেইজে লিখেছেন এক ব্যবহারকারী।
“আপনি এক সেকেন্ডের জন্য ভিডিও’র ‘ভলিউম স্লাইডার’ সামঞ্জস্য করতে পারলেও এর পরপরই তা আবার মিউট হয়ে যায়।”
আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, “আমি ইউটিউবে অ্যাডব্লক চালু রেখে ভিডিও চালালে এর প্রথম এক সেকেন্ডে শব্দ শোনা গেলেও এর পরপরই তা নিশ্চুপ হয়ে যাচ্ছে। ভিডিও’টি স্বাভাবিকভাবে চললেও এতে কোনো শব্দ নেই। আমি প্রায় ১০ মিনিট ধরে এটা ভেবেছি যে, আমার হেডফোন বা পিসি’তে কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে।”
অনলাইনে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখা বন্ধ করার জনপ্রিয় এক উপায় হয়ে উঠেছে অ্যাড ব্লকিংয়ের জন্য ব্রাউজার এক্সটেনশনগুলো।
গবেষণা কোম্পানি ‘সেনসাসওয়াইড’-এর সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি মানুষ কোনো না কোনো অ্যাড ব্লকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, যেখানে তরুণদের মধ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বেশি।
এদিকে, ডেটা সংগ্রাহক কোম্পানি ‘স্ট্যাটিস্টা’র প্রকাশিত তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে, গোটা বিশ্বে অ্যাড ব্লকার ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ কোটির কাছাকাছি।
গত মাসে ইউটিউব ঘোষণা দিয়েছিল, যেসব থার্ড পার্টি অ্যাপ বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করার বিভিন্ন উপায় অফার করে, তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানি ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া, নিজেদের কমিউনিটি পেইজের এক পোস্টে ইউটিউব উল্লেখ করেছে, এ ধরনের কার্যক্রম তাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
“আমরা জোর দিয়ে বলছি, থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখা বন্ধ করা আমাদের নীতিমালার পরিপন্থী। এতে করে আমাদের কনটেন্ট নির্মাতাদের অর্থ উপার্জনের পথ আটকে যায়। আর নির্মাতাদের সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রেও এইসব বিজ্ঞাপন সহায়ক হিসেবে কাজ করে, যার ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই স্ট্রিমিং সেবাটি ব্যবহার করতে পারছেন,” উল্লেখ রয়েছে ঘোষণায়।
“যারা এইসব থার্ড পার্টি অ্যাপ দিয়ে ইউটিউবের ভিডিও দেখার চেষ্টা করছেন, তারা হয়ত বাফারিংয়ের সমস্যা বা ‘কনটেন্টটি অ্যাপে পাওয়া যাচ্ছে না’ এমন বার্তা পেতে পারেন।”
কোম্পানি আরও যোগ করে, যারা পুরোপুরি বিজ্ঞাপনবিহীন অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাদের ইউটিউবের প্রিমিয়াম গ্রাহক সেবায় সাইন আপ করতে হবে।