বিটকয়েন উত্তোলন ‘আটকে দিয়েছিল’ বাইন্যান্স, চালু হল ফের

নানা কারণেই একজন মালিক তার ক্রিপ্টো মুদ্রা এক্সচেঞ্জ থেকে উত্তোলন করতে পারেন। এর মধ্যে ক্রিপ্টো বিক্রি করে প্রচলিত মুদ্রায় রূপান্তর অন্যতম।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2023, 01:55 PM
Updated : 8 May 2023, 01:55 PM

বিটকয়েন উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাইন্যান্স। উত্তোলনে চাপ ও এ সংশ্লিষ্ট ফি বেড়ে যাওয়াকে কারণ দেখিয়ে কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বের শীর্ষ ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জটি।

ক্রিপ্টো উত্তোলন বলতে এক্সচেঞ্জ থেকে ক্রিপ্টো মুদ্রা এর মালিকের ব্যক্তিগত ওয়ালেটে নেওয়া বোঝায়। নানা কারণেই একজন মালিক তার ক্রিপ্টো মুদ্রা এক্সচেঞ্জ থেকে উত্তোলন করতে পারেন। এর মধ্যে ক্রিপ্টো বিক্রি করে প্রচলিত মুদ্রায় রূপান্তর অন্যতম।

গেল রোববারের শেষ থেকে সোমবারের শুরু পর্যন্ত গ্রাহকের বিটকয়েন তোলার সুবিধা বন্ধ রাখে বাইন্যান্স। পরবর্তীতে, তুলনামূলক উচ্চ সেবামূল্যে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জটি গ্রাহকদের জন্য পুনরায় এই সুবিধা চালু করেছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে সিএনবিসি।

এর কারণ হিসেবে শীর্ষ এই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বলেছে, প্ল্যাটফর্মে এখনও অনেক লেনদেন আটকে আছে, কারণ ক্রিপ্টো মাইনাররা ব্লকচেইন লেনদেনের খতিয়ান রেকর্ড করায় যথেষ্ট পারিশ্রমিক পাচ্ছিলেন না।

এই স্থগিতাদেশে বিটকয়েনের মূল্যমান কমে এলেও এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগণ্য। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, সর্বশেষ ক্রিপ্টোমুদ্রাটির মূল্যমান এক শতাংশ কমে ২৮ হাজার একশ ৬২ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে, যা এর আগের প্রায় এক সপ্তাহের হিসাবে সর্বনিম্ন।

“আমাদের ফি নির্ধারণে ‘(বিটকয়েন) নেটওয়ার্কে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আসেনি।” --এক টুইটে বলেছে বাইন্যান্স।

"আমরা আটকে থাকা বিটকয়েন উত্তোলনের লেনদেনে তুলনামূলক উচ্চ ফি আরোপ করেছি, যাতে সেগুলো বিভিন্ন ‘মাইনিং পুল’ বেছে নিতে পারে।”

‘গ্যাস ফি’ বলতে বিভিন্ন এমন ক্রিপ্টো মাইনারকে অর্থ পরিশোধ করা বোঝায়, যারা ব্লকচেইনে বিভিন্ন লেনদেন প্রক্রিয়াকরণে কম্পিউটিং সক্ষমতা কাজে লাগায়।

“উত্তোলনের পরিমাণ বেশি হলে লেনদেন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় গ্যাস ফি’ও বাড়তে পারে। বিশেষ করে নেটওয়ার্কে চাপ বেশি থাকলে সময়।” --বলেন ব্লকচেইন প্রযুক্তি দল ‘এক্সবিই, কয়েনলেকটিবলস ও মারভিওন’-এর ‘গ্রুপ চিফ রিস্ক অফিসার’ জশুয়া চু।

“বড় অঙ্কের অর্থ উত্তোলনের বেলায় আমাদের আরও বেশি তথ্য প্রয়োজন।” --উত্তোলন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার পর বলেছে বাইন্যান্স।

“এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে…আমরা নিজেদের আর্থিক ফি’তে সামঞ্জস্য এনেছি।” --পৃথক এক টুইটে প্ল্যাটফর্ম থেকে বড় অঙ্কের অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে বাইন্যান্স।

মার্চে প্রযুক্তিগত সমস্যার উদ্ধৃতি দিয়ে অর্থ জমা ও উত্তোলনের ব্যবস্থা স্থগিত করেছিল বাইন্যান্স। 

বাজার বিশ্লেষক সাইট ‘কয়েনমার্কেটক্যাপ’-এর তথ্য অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় বাইন্যান্সের লেনদেনের মাত্রা ছিল ছয়শ ৯০ কোটি ডলার, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কয়েনবেইজের তুলনায় আট গুণেরও বেশি।