মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থক এই প্রচারণাগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়া, চীন এবং ইরান। তবে, অভিজ্ঞরা বলছেন, এই পুরো প্রচারণা কার্যক্রমই ছিল আদতে নিষ্ফল।
Published : 24 Nov 2022, 04:24 PM
অনলাইনে অপপ্রচার কার্যক্রমে ‘মার্কিন সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট লোকজন জড়িত’ বলে দাবি করেছে ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটা।
কোনো প্রযুক্তি জায়ান্ট কোম্পানি এবারই প্রথম আমেরিকাবান্ধব অপপ্রচার কার্যক্রম বন্ধ করলো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থক এই প্রচারণাগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়া, চীন এবং ইরান। তবে, অভিজ্ঞরা বলছেন, এই পুরো প্রচারণা কার্যক্রমই ছিল আদতে নিষ্ফল।
ফেইসবুক থেকে ৩৯টি অ্যাকাউন্ট, ১৬টি পেইজ এবং দুটি গ্রুপকে সরিয়েছে মেটা। এর পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম থেকে ২৬টি অ্যাকাউন্ট সরানোর কথাও উল্লেখ রয়েছে মেটার ঘোষণায়। এর কারণ হিসেবে নীতিমালা বিরোধী কার্যক্রম এবং দলগতভাবে কপট আচরণের কথা বলেছে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিটি।
এই পুরো কার্যক্রম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
“এদের লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ইরান, ইরাক, কাজাখস্তান, রাশিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ইয়েমেন।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সাধারণত যে ধরনের পদ্ধতি অনুসৃত হয়, এই অ্যাকাউন্টগুলোও সেই একই পদ্ধতির ব্যবহার করেছে বলে উল্লেখ করেছে মেটা। এর মধ্যে রয়েছে-
পরিচয় জালিয়াতি
কৃত্রিমভাবে তৈরি করা ছবি এবং
একাধিক প্ল্যাটফর্মজুড়ে প্রচারণা।
ইরানকে লক্ষ্য করা অ্যাকাউন্টগুলোতে ইরানি কর্তৃপক্ষ এবং তাদের নীতিমালার সমালোচনা রয়েছে। এর মধ্যে নারী স্বাধীনতা সহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা বলেছে মেটা।
যে সকল অ্যাকাউন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে প্রচার চালিয়েছে তারা অনেক ক্ষেত্রেই রুশ ভাষায় বিবিসি নিউজের খবরকে নিজেদের বলে চালিয়ে দিয়েছে। এদের অনেকেই আচরণ করেছে স্বাধীন গবেষক হিসেবে। এই কার্যক্রম চলেছে ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি সেবা জুড়ে- এর মধ্যে রয়েছে টুইটার, ইউটিউব, টেলিগ্রাম, ভিকোনতাকতে এবং অদোনোক্লাসনিকি।
নেজের “এই কার্যক্রমের পেছন থাকা লোকজন যদিও নিজেদের পরিচয় এবং অবস্থান লুকানোর চেষ্টা করেছে, তবে আমাদের তদন্ত বলছে, এরা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।” - প্রতিবেদনে বলেছে মেটা।
“তবে, এই পোস্টগুলার বেশিরভাগ লোকজনের মধ্যে সামান্যই সাড়া তৈরি করতে পেরেছে।”
মেটার এই ঘোষণা ওয়াশিংটন পোস্টের আগের এক প্রতিবেদনের সত্যতাই নিশ্চিত করল। সে সময় সূত্রগুলো বলেছিল, এই ধরনের গোপন অভিযান নিয়ে উদ্বেগের ফলে মার্কিন সামরিক বাহিনী কীভাবে ‘গোপন তথ্যযুদ্ধ’ পরিচালনা করেছে, তা নিয়ে এক 'ব্যাপক নিরীক্ষা' সম্পন্ন করেছে পেন্টাগন।