২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইউএস ক্যাপিটলে দাঙ্গার পর ক্লেগের আমলেই ফেইসবুক থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 04 Jan 2025, 06:38 PM
ফেইসবুকের মূল কোম্পানি মেটার ‘গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস’ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নিক ক্লেগ।
পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নিকের স্থলাভিষিক্ত হবেন হোয়াইট হাউসের সাবেক ‘ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ’ জোয়েল কাপলান। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কাপলান।
নিক বলেছেন, “নতুন বছর শুরু হওয়ায় আমি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়।”
“মেটায় কাজ করার বিষয়টি আমার জীবনে সত্যিই একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল!”
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের এমপি হিসাবে নিজের আসন হারানোর পর এই লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা ২০১৮ সালে মেটার ‘গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস’ বিভাগে কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
২০২২ সালে নিককে পদোন্নতি দিয়ে কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্ট টিমের শীর্ষ পদ দিয়েছিল মেটা। ওই সময় মার্ক জাকারবার্গ বলেছিলেন, ‘সাবেক রাজনীতিবিদকে তার সমান করে তুলেছে’ এই পদোন্নতি এবং ‘আমাদের সব ধরনের নীতিগত বিষয়ে’ নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
জানা গেছে, কোম্পানিটির কয়েক মিলিয়ন ডলার বেতনের পাশাপাশি শেয়ার প্যাকেজও পেতেন নিক। ভুল তথ্য, ব্যবহারকারীর ডেটা পরিচালনা ও ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়ার সময়ে মেটার নীতি উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
ফেইসবুক ওভারসাইট বোর্ড গঠনেও সহায়তা করেছিলেন ৫৭ বছর বয়সী নিক। ফেইসবুক ওভারসাইট বোর্ড হচ্ছে কোম্পানির এক স্বাধীন প্যানেল, যা কনটেন্ট মডারেশন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইউএস ক্যাপিটলে দাঙ্গার পর ক্লেগের আমলেই ফেইসবুক থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সেই সিদ্ধান্ত তুলে নেয় মেটা।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর ডনাল্ড ট্রাম্প ও মেটার মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জো বাইডেনের ক্ষতি হতে পারে এমন কনটেন্ট চেপে যাচ্ছে মেটা।
এদিকে, মেটার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ট্রাম্পের অভিষেক তহবিলে ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে প্রযুক্তি কোম্পানিটি।
এ পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ফেইসবুকে নিক বলেছেন, “আমি আশা করি, প্রযুক্তি ও রাজনীতির মতো খুব আলাদা জগতের মধ্যে সেতুবন্ধনের চেষ্টায় কিছু ভূমিকা পালন করতে পেরেছি আমি, যা অপ্রত্যাশিত উপায়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বিশ্ব।”