পাল্প ফিকশনের পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ ছিল, ‘এনএফটি’ একটি উদীয়মান প্রযুক্তি এবং এই খাত থেকে তাদের মুনাফা কামানোর সুযোগ আছে।
Published : 12 Sep 2022, 08:43 PM
অস্কারজয়ী সিনেমা ‘পাল্প ফিকশন’-এর এনএফটি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের জড়িয়ে পরেছিলেন সিনেমার চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক কোয়েন্টিন টারান্টিনো আর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মিরাম্যাক্স। সমঝোতা হয়েছে সে দ্বন্দ্বে; মামলা খারিজ করার আবেদন করতে যাচ্ছে উভয় পক্ষ।
২০২১ সালে এনএফটি বা নন-ফাঞ্জিবল টোকেন নিয়ে প্রযুক্তি বাজারের উন্মাদনা যখন চূড়ান্তে, সে সময়ে পাল্প ফিকশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৈরি এনএফটি বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন পরিচালক টারান্টিনো। এর ফলে খেপেছিল মিরাম্যাক্স।
গত বছরে নতুন এনএফটিগুরোর অভিষেকের সময়ে টারান্টিনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রতিটি এনএফটি ১৯৯৪ সালে সিনেমাটির ‘সিক্রেট’ কিছু উন্মুক্ত করবে। চিত্রনাট্যের মালিকানা টারান্টিনোর অধীনে থাকায়, এনএফটিগুলোকে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু মামলা করে বসে মিরাম্যাক্স। পাল্প ফিকশনের পরিবেশক প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ ছিল ‘এনএফটি’ একটি উদীয়মান প্রযুক্তি এবং এই খাত থেকে তাদের মুনাফা কামানোর সুযোগ আছে।
১১ লাখ ডলার দামে পাল্প ফিকশনের প্রথম এনএফটি বিক্রি হওয়ার পর জানুয়ারি মাসে আদালতে জমা দেওয়া নথিপত্রে মিরাম্যাক্সের আইনজীবীরা বলেছিলেন, টারান্টিনোর হাতে সীমিত পর্যায়ের যে মালিকানাই থাকুক না কেন, নিজস্ব মালিকানায় থাকা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনএফটি বাজারজাতকরণের অনুমতি দিতে রাজি নয় তারা।
সেই দ্বন্দ্ব মিটে গেছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। যৌথ বিবৃতিতে দুই পক্ষ বলেছে, “উভয় পক্ষ বিবাদ ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে জোট বেঁধে কাজ করার আশা করছে; সম্ভাব্য এনএফটিও আছে তার মধ্যে।”
তবে সমঝোতা চুক্তির খুঁটিনাটি নিয়ে উভয় পক্ষের কেউ মুখ খোলেনি বলে জানিয়েছে ভার্জ।
টরেন্টফ্রিকের বরাত দিয়ে ভার্জ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সমঝোতা চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন টারান্টিনো এবং মিরাম্যাক্সের প্রতিনিধিরা।
আর মিরাম্যাক্সের মামলার পরের মাসগুলোতে ধস নেমেছে ক্রিপ্টো মুদ্রা এবং এনএফটির বাজারে। ফলে, ভবিষ্যতে পাল্প ফিকশন নিয়ে নতুন এনএফটি উন্মুক্ত করলেও ক্রেতাদের মধ্যে কেনার আগ্রহ থাকবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।