এক্স প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটগুলো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বেলায়ও কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে।
Published : 05 Nov 2024, 06:49 PM
মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন দাবি এ বছর সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেখা হয়েছে দুশো কোটি বার।
অলাভজনক সংগঠন ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’-এর এক রিপোর্টে বিষয়টি উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ ছাড়া, এক্স প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট, যেগুলো সম্ভবত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে, এমন রাজ্যগুলো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বেলায়ও কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে বলে সোমবার বলেছেন নির্বাচন ও ভুল তথ্য বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, এক্স-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রচলিত সতর্কীকরণ উপায়ের চেয়ে গুজব বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট শনাক্তে মানুষকে সাহায্য করতে বেশি কার্যকর কোম্পানির ‘কমিউনিটি নোট’ ফিচার। এ ফিচারের মাধ্যমে পোস্টে বাড়তি তথ্য বা প্রসঙ্গ যোগ করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত কোম্পানিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মাস্ক প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টে কড়াকড়ির মাত্রা শিথিল করেছেন। পাশাপাশি, হাজার হাজার কর্মীকে ছাঁটাইও করেছেন তিনি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি খোলামেলা সমর্থন রয়েছে মাস্কের। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রায় সমান সমান প্রতিযোগিতা হচ্ছে ট্রাম্পের।
এক্স প্ল্যাটফর্মে অন্তত ২০ কোটি ৩০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে মাস্কের, এ বিশাল সংখ্যা ‘নেটওয়ার্ক ইফেক্ট’ তৈরিতে সহায়তা করে, যেখানে এক্স-এর কনটেন্ট অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, যেমন রেডিট এবং টেলিগ্রামেও চলে যেতে পারে, বলেছেন কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ ক্যাথলিন কার্লে।
সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট-এর রিপোর্ট অনুসারে, এ বছর মাস্কের অন্তত ৮৭টি পোস্টে মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে বিভিন্ন দাবি রয়েছে, যা ফ্যাক্ট চেকাররা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এসব পোস্ট সব মিলিয়ে দুইশো কোটি ভিউ সংগ্রহ করেছে।
এবারের মার্কিন নির্বাচনের সাতটি সুইং স্টেটের একটি পেনসিলভানিয়া। সেখানের স্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তারা কিছু ভোটার নিবন্ধন ফর্ম বাতিল করে দিয়েছেন সেগুলো অসম্পূর্ণ হওয়ার কারণে। কিছু এক্স ব্যবহারকারী ঘটনাগুলোকে নির্বাচনী হস্তক্ষেপের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন বলে উল্লেখ করেছেন কমন কজ-এর পেনসিলভানিয়া নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ হেনসলে-রবিন।
কমন কজ হল একটি নির্দলীয় সংগঠন যারা জবাবদিহিমূলক সরকার ও ভোটাধিকারের সমর্থনে প্রচার চালায়।
“কিছু এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ভোট জালিয়াতির দাবি ওঠে। কিন্তু আসলে, আমরা খুব স্পষ্টভাবে জানি আমাদের সব কাউন্টিতে নির্বাচনী কর্মকর্তারা নিয়ম মানছেন। ফলে, কেবল যোগ্য ভোটাররাই ভোট দিচ্ছেন।” – বলেছেন হেনসলে-রবিন।
এ ছাড়া, এক লাখ ১৭ হাজার ফলোয়ারসহ একটি এক্স অ্যাকাউন্ট পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের পক্ষের মেইল-ইন ব্যালট নষ্ট করার জাল ভিডিও ছড়াতে সাহায্য করার বেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে সোমবার জানিয়েছে সাইব্রা নামের একটি কোম্পানি, যা অনলাইনে গুজব শনাক্তে এআই ব্যবহার করে।
ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কোম্পানি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে এক্সের এক মুখপাত্র।