অভিযোগ অস্বীকার করে লি বলেন, “ব্যক্তিগত লাভের জন্য বা বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা বা ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য আমার কখনোই ছিল না।”
Published : 08 Feb 2025, 04:36 PM
অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি ও শেয়ার কারসাজির অভিযোগে ২০১৫ সালে হওয়া মামলায় স্যামসাং চেয়ারম্যান জে ওয়াই লি’কে গত সপ্তাহে নির্দোষ ঘোষণা করে সিউল হাই কোর্ট। এখন এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার পক্ষ।
ধারাবাহিক প্রতিযোগিতা ও শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছে বিশ্বের অন্যতম মেমোরি চিপ ও স্মার্টফোন নির্মাতা স্যামসাং। এর মধ্যে বিভিন্ন আইনি জটিলতা লি’র জন্য বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রয়টার্সের অনুরোধে রাজি হয়নি স্যামসাং।
২০১৫ সালে স্যামসাংয়ের দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটশ কোটি ডলারের একীভূতকরণের মামলা থেকে স্যামসাং প্রধানের বিরদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় সোমবার বহাল রাখে সিউল হাইকোর্ট। ওই মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা বলেছিলেন, প্রযুক্তি জায়ান্টের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করতে এই একত্রীকরণে গিয়েছেন লি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে লি বলেছিলেন, “ব্যক্তিগত লাভের জন্য বা বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা বা ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য আমার কখনোই ছিল না।”
রয়টার্স লিখেছে, এ মামলা নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন লি। এর মধ্যে ২০১৪ সালে তার বাবা লি কুন হি’র হার্ট অ্যাটাকের পরে তার উত্তরাধিকারের পথ তৈরি হলেও একীভূতকরণ মামলার কারণে তা বাধার মুখে পড়েছে।
এর আগে, ঘুষের অভিযোগে সবমিলিয়ে ১৮ মাস জেল খেটেছিলেন লি। ২০২১ সালে জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। এটি এমন এক কেলেঙ্কারির অংশ, যা ওই সময় দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল এবং অবশেষে ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই পদত্যাগ করেন।