২০২৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ রাশিয়ার সঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
এর আগে অবশ্য রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’-এর মহাপরিচালক ইউরি বরিসভ বলেছেন, নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির উদ্দেশ্যে ২০২৪ সালের পর আইএসএস থেকে সরে আসবে দেশটি।
‘২০২৪ সালের পর’ বাক্যাংশটি থেকে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তুলনামূলক অস্পষ্ট ধারণা মেলে। এমনকি রসকসমস-এর কর্মকর্তা সার্গেই ক্রিকালোভ বলেন, এটি বাস্তবায়িত হতে ২০২৫, ২০২৮ এমনকি ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
রাশিয়া কতদিন পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশনে নিজেদের অংশীদারিত্ব ধরে রাখবে, সে সম্পর্কে এখন তুলনামূলক স্পষ্ট ধারণা মিলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। এর আগেই ২০৩০ সাল পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশনে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ‘ইএসএ’র সদস্যভুক্ত দেশগুলো।
ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র’সহ অন্যান্য দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় মুখ খোলেন রসকসমস-এর সাবেক পরিচালক দিমিত্রি রগজিন। তার সংস্থা পশ্চিমা মহাকাশ সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে, সে সময় এমন হুমকিও দেন তিনি।
“আমি বিশ্বাস করি, বিভিন্ন অবৈধ নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে এবং নিঃশর্তে তুলে নিলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ও অন্যান্য প্রকল্পের অংশীদারদের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা সম্ভব।” --সে সময় বলেন রগজিন।
রসকসমস এখন নিজের সহযোগী আইএসএস অংশীদারদের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে রাজী হলেও ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে আসার বিষয়টি বিবেচনার রেখেছিল নাসা।
এমনকি রাশিয়া আকস্মিকভাবে মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে নাসা ও হোয়াইট হাউজ মিলে নভোচারীদের মহাকাশ স্টেশন থেকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি রাশিয়ার বিভিন্ন থ্রাস্টার কক্ষপথে রেখে মহাকাশ স্টেশন পরিচালনার পরিকল্পনাও করেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।