গত বছর অক্টোবরে ইলন মাস্ক যখন টুইটার কেনেন তখনকার তুলনায় বর্তমানে কোম্পানিটির দাম তিন ভাগের এক ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে এক বিনিয়োগ কোম্পানির প্রতিবেদন।
বিনিয়োগ কোম্পানি ফিডেলিটি’র ‘ব্লু চিপ ফান্ডে’র মাসিক প্রতিবেদন বলছে এপ্রিল শেষে টুইটারের শেয়ারে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
অক্টোবরে যখন মাস্ক কোম্পানিটিকে কিনে নেন তখন তাদের এই শেয়ার মুল্য ছিলো এক কোটি ৯৬ লাখ ডলারের বেশি। এই দরপতনের হার ইঙ্গিত করছে মাস্কের ক্রয়মূল্য চারহাজার চারশো কোটি ডলার থেকে কমে দেড় হাজার কোটি ডলারে এসে ঠেকেছে– বলেছে সংবাদসংস্থা সিএনএন।
এই দাম নির্ধারণ কীভাবে হলো, আর কেনই বা এই রিপোর্টি প্রকাশ করেছে ফিডেলিটি সে প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কোম্পানিটি। ঝোঁকের বশে মাস্ক যে হঠকারি সিদ্ধান্ত নেন, মানুষের মনে থাকা এমন চিত্রের সঙ্গে রিপোর্টটি মিলে গেছে, বলেছে সিএনএন।
মাস্কের মালিকানা থাকাকালীন সময়ে টুইটার এর বেশিরভাগ কর্মী ছাঁটাই করে, হারায় বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনদাতা, প্রচলিত ইউজার ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া এবং পেইড সাবস্ক্রিপশনের মতো রদবদলের কারণে কোম্পানিটি জনপ্রিয়তাও হারায়।
ফিডেলিটি ক্রমাগত ভাবে টুইটারের দাম কমে যাওয়ার কথা প্রকাশ করে আসছে, নভেম্বরে তাদের শেয়ারের দর কমে দাঁড়ায় ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে এবং জানুয়ারিতে তা আরও কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারে বলেছে সংবাদসংস্থা রয়টর্স।
ফিডেলিটির প্রতিবেদনটি এপ্রিলের ২৮ তারিখে প্রকাশ করা। এর মধ্যে অনেক রদবদল হয়েছে কোম্পানিটিতে, মাস্ক কোম্পানিটির সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে সে পদের জন্য ঘোষণা করেছেন এনবিসি ইউনিভার্সালের সাবেক বিজ্ঞাপন প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনোর নাম।