আগের ছয়টি মামলা স্বত্ত্বেও নকল পণ্য বিক্রি চালু রেখেছে আলিবাবা, সেইসঙ্গে উপেক্ষা করেছে নিজদের “থ্রি-স্ট্রাইক” নীতিমালা, এমনকি জালিয়াতিতে জড়িত কিছু বিক্রেতাকে “ভ্যারিফাইড” সুবিধাসহ দিয়েছে “গোল্ড সাপ্লায়ার” খেতাব।
Published : 29 Dec 2023, 12:39 PM
চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা শিশুদের জনপ্রিয় খেলনা স্কুইশম্যালোসের নকল বিক্রি করছে – এমন অভিযোগে চলমান একটি মামলায় কোম্পানিটি নিষ্পত্তি চাইলে তা খারিজ করে দিয়েছেন একজন মার্কিন বিচারক।
মার্কিন ডিস্ট্রিক জজ হেসে ফারম্যান ম্যানহাটনে বুধবার একটি রায়ে বলেন, কেলি টয়স-এর মালিক কোম্পানি বিলিওনেয়ার ওয়ারেন বাফেট মালিকানাধীন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে স্পষ্টভাবে অভিযোগ করেছে তাদের মেধাস্বত্ত্ব এবং ট্রেডমার্ক, জেনে বুঝে নিজদের প্ল্যাটফর্মের বিক্রেতাদের লঙঘনের সুযোগ করে দিয়েছে আলিবাবা।
আগের ছয়টি মামলা স্বত্ত্বেও নকল পণ্য বিক্রি চালু রেখেছে আলিবাবা, সেইসঙ্গে উপেক্ষা করেছে নিজদের “থ্রি-স্ট্রাইক” নীতিমালা, এমনকি জালিয়াতিতে জড়িত কিছু বিক্রেতাকে “ভেরিফায়েড” সুবিধাসহ দিয়েছে “গোল্ড সাপ্লায়ার” খেতাব – অভিযোগ করেছে কেলি টয়স।
এ বিষয়ে আলিবাবা এবং তাদের আইনজীবীর সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তাদের কেউই এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি। অপরদিকে মামলাটির ভিত্তি কতোটা শক্ত সে বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেননি বিচারক ফারম্যান।
নকল স্কুইশম্যালোস বিক্রির অভিযোগে ২০২২ সালের নভেম্বরে ৯০ জন বিক্রেতার বিরুদ্ধে কেলি টয়স মামলা করলে চার মাস পর বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। পরবর্তীতে মার্চে বিবাদীর তালিকায় আলিবাবাকে যুক্ত করে কোম্পানিটি।
মামলাটিতে খারিজ চেয়ে আলিবাবা বলেছে, জালিয়াতিতে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারেনি কেলি টয়েস এবং বিক্রেতাদের ধর পাকড়ের দাবি জানিয়ে অন্যায্যভাবে নিজদের মেধাস্বত্ত্ব রক্ষার দায় আলিবাবার ওপর চাপাতে চাইছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে কেলি টয়স-এর বেশিরভাগ অংশ কিনে নেয় জাজওয়ারেস, এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে জাজওয়ারেসের মালিক কোম্পানি অ্যালেঘানিকে কিনে নেয় বার্কশায়ার।