এক সময় প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গের পর কোম্পানির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো স্যান্ডবার্গকে।
Published : 18 Jan 2024, 12:54 PM
মেটার পরিচালনা পর্ষদের সদস্যপদ থেকে সরে আসার পরিকল্পনা করছেন কোম্পানির সাবেক সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ।
বুধবার ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে স্যান্ডবার্গ বলেন, মে মাসে কোম্পানির পর্ষদ সদস্য হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই এ পদ ছেড়ে দেবেন তিনি।
“মেটার ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ খুবই শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য পর্যায়ে আছে। তাই কোম্পানি থেকে সরে আসার এটাই সঠিক সময়।” -- পোস্টে বলেন স্যান্ডবার্গ। পরবর্তীতে কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টের জবাবে মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, স্যান্ডবার্গের ‘নতুন অধ্যায় শুরুর’ জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি।
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ১৪ বছরের বেশি সময় মেটার চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্যান্ডবার্গ। পাশাপাশি, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সদস্য হিসেবেও ১২ বছর কাটান তিনি। ২০২২ সালে মেটার সিওও পদ থেকে সরে দাঁড়ান স্যান্ডবার্গ।
এক সময় প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গের পর কোম্পানির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো স্যান্ডবার্গকে। এমনকি কোম্পানিটির বহুল সমালোচিত বিজ্ঞাপনী ব্যবসায়িক মডেলের মূল প্রকৌশলী এবং কোম্পানির অন্যতম সক্রিয় নির্বাহী কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি।
ফেইসবুকের অনেক বিতর্কিত মূহুর্তেই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে স্যান্ডবার্গকে, যেখানে কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষতিকর কনটেন্ট ঠেকানোর ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছেন, এমন যুক্তিও দেখাতেন তিনি।
ফেইসবুকে যোগ দেওয়ার আগে গুগলের ‘গ্লোবাল অনলাইন সেলস অ্যান্ড অপারেশনস’ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন স্যান্ডবার্গ। এ ছাড়া, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অধীনে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের কর্মী প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বেশ কিছু বই লিখেছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির স্নাতক স্যান্ডবার্গ, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘লিন ইন: উইমেন, ওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য উইল টু লিড’ শীর্ষক নারীবাদী ঘরানার বইটি।