ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ কাটতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়কের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাঘাইছড়ির সাথে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ আছে

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালে রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী রাসেল হোসেনের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে।

তিনি ২০২৩ সালে ফায়ারফাইটার হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন।

জাকির হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্নস্থানে সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে। সেগুলো কাটার সময় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রাসেল। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।”

এদিকে রেমালের প্রভাবে টানা বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ১০ গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার প্লাবিত হয়েছে।

টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়েছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।

মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আলুটিলায় পাহাড় ধসে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়কের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ আছে বলে জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মাকসুদুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, “সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। এখন ছোট যান চলাচল করতে পারছে। মাটি সরানোর কাজ শেষ হলে যাত্রী বাস ও ট্রাক চলাচল করতে পারবে।”