ভুল তথ্য, স্ক্যাম বা জালিয়াতি ও ঘৃণা ছড়ায় এমন কনটেন্টের মাধ্যমে অনলাইনে ক্ষতির মুখে পড়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা আসলে নারীদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে বেশি।
Published : 28 Nov 2024, 04:51 PM
পুরুষদের তুলনায় অনলাইনে বেশি সময় কাটান নারীরা এবং অনলাইনে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন এ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্নও থাকেন তারাই — এমনই উঠে এসেছে অফকম-এর নতুন গবেষণায়।
যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম-এর সর্বশেষ ‘অনলাইন নেশন’-এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সব ধরনের বয়সের মানুষ ও ডিভাইস মিলিয়ে পুরুষদের চেয়ে নারীরা প্রতিদিন ৩৩ মিনিট বেশি অনলাইনে কাটান।
গবেষণায় উঠে এসেছে, অনলাইনে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন এ নিয়ে পুরুষদের চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন নারীরা। বিশেষ করে অনলাইনে মানব পাচার, আত্মহত্যা ও ঘৃণ্য বা আক্রমণাত্মক বিভিন্ন কনটেন্টের মতো বিষয় নিয়েও পুরুষদের চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন নারীরা।
টিনএজারদের মধ্যে যৌন বা পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট, অনলাইনে নারীবিদ্বেষ এবং সহিংস কনটেন্টের বিষয়ে ছেলেদের চেয়ে কিশোরী ও তরুণীদের বেশি উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভুল তথ্য, স্ক্যাম বা জালিয়াতি ও ঘৃণা ছড়ায় এমন কনটেন্টের মাধ্যমে অনলাইনে ক্ষতির মুখে পড়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা আসলে নারীদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে বেশি। তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিজেদের ছবি অনলাইনে পোস্ট করার অভিজ্ঞতা পুরুষদের চেয়ে নারী ও তরুণীদের মধ্যে বেশি।
গবেষণায় অন্যান্য অনলাইনভিত্তিক অভ্যাসও তুলে ধরেছে অফকম। গবেষণায় জেনারেটিভ এআই টুলের ব্যবহার করা ও পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে পুরুষদের মধ্যে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবনাচার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাইট বেশি দেখেন নারীরা।
এ ছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে, সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপের তালিকায় এক্স’কে ছাড়িয়ে গেছে ফোরাম সাইট রেডিট।
অফকম বলেছে, এ বছরের মে মাসে ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন ইউটিউব-এ। এরপর তালিকায় রয়েছে মেটা মালিকানাধীন ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও চীনের শর্ট ভিডিও অ্যাপ টিকটক।
এদিকে, তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে রেডিট ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এক্স।