লন্ডনের মঞ্চে এলভিসকে ফেরাচ্ছে এআই

এ ছাড়া, ৫০ থেকে ৬০’র দশকে তিনি যে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তার ঝলকও মিলবে এ ডিজিটাল অভিজ্ঞতায়।

ছবি: রয়টার্স

এলভিস প্রিসলি’র ভক্তদের জন্য সুখবর। শীঘ্রই লন্ডনের মঞ্চ কাঁপাবে ‘কিং অফ রক এন রোল’ খ্যাত তারকার ডিজিটাল সংস্করণ।

প্রয়াত এ তারকাকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ব্রিটিশ কোম্পানি ‘লেয়ার্ড রিয়ালিটি’। কোম্পানিটি বলছে, এ নতুন আয়োজনে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও হলোগ্রাফির মতো প্রযুক্তি। এ ছাড়া, এলভিসকে নিয়ে বিশ্বের প্রথম ‘ইমার্সিভ’ অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে এটি।

এরইমধ্যে হাজার হাজার ব্যক্তিগত ছবি ও তার বাড়ির বেশ কয়েক ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজে প্রবেশাধিকার পেয়েছে কোম্পানিটি। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে তারা মঞ্চে এমন এক অভিজ্ঞতা তৈরি করবেন, যা ‘আগে কখনও দেখা যায়নি’।

আয়োজনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘এলভিস ইভোলিউশন’। আয়োজকরা বলছেন, এর মাধ্যমে এলভিসকে ‘কনসার্টের কাছাকাছি জায়গা থেকে দেখার’ মতো অভিজ্ঞতা পাবেন ভক্তরা। এ ছাড়া, ৫০ থেকে ৬০’র দশকে তিনি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তার ঝলকও মিলবে এ ডিজিটাল অভিজ্ঞতায়।

আয়োজনটির সম্ভাব্য জায়গা সেন্ট্রাল লন্ডন। এ ছাড়া, ভবিষ্যতে লাস ভেগাস, টোকিও ও বার্লিনেও এ অভিজ্ঞতা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

এর আগেও একই ধরনের অভিজ্ঞতা দেখা গেছে ‘অ্যাবা ভয়েজ’ নামের ডিজিটাল কনসার্টে, যেখানে ১৯৭৯ সালে পূর্ব লন্ডনে পারফর্ম করা সুইডিশ ব্যান্ডটির বিভিন্ন সদস্যের বাস্তবভিত্তিক অ্যাভাটারের ঝলক দেখা গেছে।

এ ছাড়া, সম্প্রতি নিজেদের শেষ কনসার্টের শেষ গানে একই ধরনের অ্যাভাটার উন্মোচন করেছে মার্কিন রক ব্যান্ড কিস। আর এতে ব্যান্ডের সদস্যদের তুলে ধরা হয়েছে তাদের ‘সুপারহিরো’ সংস্করণের আদলে।

‘নেক্সট-জেনারেশন ট্রিবিউট’

৮ জানুয়ারি এলভিস প্রিসলি’র ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। তার আগেই নতুন এ শো’র ঘোষণা এল আয়োজকদের কাছ থেকে।

লেয়ার্ড রিয়ালিটি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অ্যান্ড্রু ম্যাকগিনিজ বলেছেন, “সঙ্গীত কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলি’র জন্য পরবর্তী প্রজন্মের শ্রদ্ধাঞ্জলী হতে যাচ্ছে এ আয়োজনটি।”

“এখনও গোটা বিশ্বে নিজের সুপারস্টার তকমাটি ধরে রেখেছেন এলভিস। আর শ্রোতারা কেবল পরোক্ষভাবেই নয়, বরং মঞ্চের কাছে উপস্থিত থেকেও কনসার্ট উপভোগ করতে ইচ্ছুক।”

তিনি আরও বলেন, “গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এলভিসের ভক্তকূলের কাছে এটি ‘বাকেট-লিস্ট’-এ যোগ করার মতো স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে, যেখানে তারা এলভিসের নিজস্ব জগতে প্রবেশ করার পাশাপাশি তার অসাধারণ সৃষ্টিগুলো উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।।”

এলভিসের কপিরাইট নিয়ে কাজ করা ‘এলভিস প্রিসলি এন্টারপ্রাইজেস’-এর মালিক কোম্পানি অথেনটিক ব্র্যান্ডস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মার্ক রোজেন বলছেন, “আমরা লেয়ার্ড রিয়ালিটি’র সঙ্গে মিলে এলভিসের জীবন ও অর্জন নিয়ে ভক্তদের নতুন ধরনের ইমার্সিভ অভিজ্ঞতা দেওয়া নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত।”

পেশাগত ক্যারিয়ারে ১৪বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পাওয়া এলভিস এই পুরস্কার জিতেছেন তিনবার। এ ছাড়া, গ্র্যামি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে তার গানের রেকর্ড বিক্রির সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশ কোটি।

এ ছাড়া, ৩৩টি সিনেমায় অভিনয় করার পাশাপাশি অসংখ্যবার টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে কিংবদন্তী এ গায়ককে।

১৯৭৭ সালের ১৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে তার ‘গ্রেইসল্যান্ড’ নামের বাড়িতে ৪২ বছর বয়সে শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন এলভিস।