“ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা কীভাবে দেওয়া যায় তা নিয়েও আমরা কথা বলব,’’ বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।
Published : 30 Oct 2024, 12:19 AM
পুঁজিবাজার উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তুলে ধরে দৈনিক শেয়ার লেনদেনের নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনার কথা বলেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
মঙ্গলবার বিএসইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় টানা চার দিনের বড় দরপতনের মধ্যে বিএসএসি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন।
এসময় তিনি বর্তমানের শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির সময় তিন দিন (টি প্লাস টু) থেকে কমিয়ে দুই দিনে (টি প্লাস ওয়ান) নামিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা বলেন।
”এটি হলে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। বাজারে লেনদেনও বাড়বে।’’
বর্তমান কমিশন প্রতিদিনের বাজারের উত্থান-পতনে কোনো হস্তক্ষেপ করতে চায় না মন্তব্য করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘তবে বাজারে যাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, সে জন্য আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবে কমিশন।’’
বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে মূলধনী মুনাফার ওপর কর যৌক্তিক পর্যায়ে আনা, এটিকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণনা করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘‘ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা কীভাবে দেয়া যায় তা নিয়েও আমরা কথা বলব।’’
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নীতি সহায়তা দিতে কমিশন কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
এজন্য অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে চলতি সপ্তাহে স্বাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে বিএসইসি চেয়ারম্যানের।
তারল্য সরবরাহ বাড়াতে আইসিবি ও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাজারে তারল্য বাড়াতে নতুন কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্রের মডেল নিয়ে কাজ করছে কমিশন। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় তিনি শেয়ার পুনঃক্রয়ব্যবস্থা (বাইব্যাক) চালু, ফ্লোর প্রাইস আরোপ না করা, সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা নিয়ে কথা বলেন।
আগের কমিশনের মেয়াদে যথাসময়ে তদন্ত শেষ না করায় এখনও ২৭৬টি তদন্ত শেষ না হওয়ার কথাও তুলে ধরে রাশেদ মাকসুদ বলেন, বতর্মান কমিশন সেগুলো শেষ করছে।
বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচি পালন গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা বলেন তিনি।