আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে গেছে, পড়ে গেছে অধিকাংশ শেয়ারের দাম।
Published : 24 Jan 2024, 11:57 AM
শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সীমা বা ‘ফ্লোর প্রাইস’ তুলে নেওয়ায় দুদিন ঊর্ধ্বমুখী সূচক নিয়ে লেনদেন চললেও বুধবার ফের দরপতন দেখছে ঢাকার পুঁজিবাজার।
এদিন আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট কমে গেছে, পড়ে গেছে অধিকাংশ শেয়ারের দাম।
সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার সকাল ১০টায় বাজার শুরু হয়েছিল সূচকের ঘরে আগের দিনের ৬ হাজার ২৭৬ পয়েন্ট নিয়ে।
শুরুতে সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী, কিন্তু ১৫ মিনিট পর শুরু হয় পতন। বেলা পৌনে ১১টায় সূচক নেমে যায় ৬ হাজার ২৬১ পয়েন্ট।
এরপর বাজারে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা দেখা যায়। বেলা পৌনে ১২টায় সূচক বেড়ে হয় ৬ হাজার ২৮৯ পয়েন্ট। কিন্তু এরপর আবার পতন। নামতে নামতে বেলা সাড়ে ১২টায় সূচক পৌঁছায় ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট কম।
ওই সময় পর্যন্ত হাতবদল হওয়া ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৬১টির দাম কমে, ৮৪টির দাম বাড়ে এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। সব মিলিয়ে লেনদেন হয় ৭২৫ কোটি টাকার।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে ৩৫টি রেখে বাকি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার ঘোষণা আসে বৃহস্পতিবার।
তাতে রোববার দিনের শুরুতে ব্যাপক দরপতন শুরু হলেও পরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হলে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। দিন শেষে সূচক কমে ৯৬ পয়েন্ট।
ফ্লোর প্রাইস তোলার সুফল মেলে সোমবার। দিন শেষে সূচকে যোগ হয় ১৪ পয়েন্ট, ছয় মাস পর হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় এ বাজারে।
দুই দিনের বাজার পর্যালোচনা করে দ্বিতীয় দফায় আরো ২৩ প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে ফ্লোর তুলে দিলে সেগুলো মঙ্গলবার স্বাভাবিক লেনদেনে ফেরে। দিন শেষে ২২ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পাশাপাশি এক হাজার ১৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।