বড় পতনের পরদিনই ডিএসইতে বড় উত্থান

ব্যাংক ও বীমার শেয়ারের ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার বড় উত্থানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে দু’দিনের পতন থেমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2021, 03:10 PM
Updated : 24 June 2021, 03:10 PM

এদিন এক মাসের মধ্যে সূচক সবচেয়ে বেশি বাড়লেও এই বাজারে লেনদেন ৪৩২ কোটি টাকা কমে দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ৫৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৯২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শতাংশের হিসাবে একদিনে এই উত্থান গত এক মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি বেড়েছে গত ২৭ মে। সেদিন সূচক ১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছিল।

আগের দিন বুধবার ৬৯ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট সূচক কমেছিল এই বাজারে, যা ছিল শতাংশের হিসাবে দুই মাসের মধ্যে বড় পতন।    

এদিন ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২১ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৪৩২ কোটি ৯ লাখ টাকা কমেছে।

মোট ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ২ হাজার ৩০ কোটি ৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার সূচক বাড়লেও এই বাজারে ৫৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। 

লেনদেন হওয়া ৩৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের  মধ্যে দর বেড়েছে ১৯১টির এবং কমেছে ১৫২টির। অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির দর।

এদিন বেড়েছে ব্যাংক, বীমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম।

কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান,প্রকৌশল এবং ওষুধ খাতের শেয়ার।

ব্যাংক খাতের ৯০ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ১২ শতাংশ।

টানা কয়েকদিনের পতনের পর বীমা খাতে ৯৬ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এদিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।

বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির দামও বেড়েছে। এই খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, শতকরা হারে বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খাতের ৪৩ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল খাতে মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এখাতের ৬২ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে।

এদিন ওষুধ খাতে ৫২ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০১ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে।

ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

বেক্সিমকো লিঃ, মালেক স্পিনিং, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, কাট্টলি টেক্সটাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, এবি ব্যাংক,   ম্যাকসন্স স্পিনিং, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, সাইফ পাওয়ার ও আইএফআইসি ব্যাংক।

দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, কাট্টল টেক্সটাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, সোনারগাঁ টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং।   

দাম কমার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

সি পার্ল বিচ, আরামিট লিঃ, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, সমতা লেদার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, জেমিনি সি ফুড,  সাইফ পাওয়ারটেক, নর্দার্ন ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও হাওয় ওয়েল টেক্সটাইল।      

অন্যদিকে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৬৫৭ দশমিক ২৬ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা কমেছে।

মোট ৮৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এই বাজারে ৩০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দর।