ডিএসই সূচক ৪০ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে

লেনদেনের পুরোটা সময় সূচকের বড় ধরনের ওঠানামার মধ্যে শেষ পর্যন্ত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর সূচক সামান্য বেড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2021, 10:45 AM
Updated : 10 June 2021, 03:27 PM

এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পৌঁছে গেছে ৪০ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে।

আগের দিনের চেয়ে এদিন শেয়ার কেনাবেচা কিছুটা কমায় লেনদেনে আর নতুন রেকর্ড হয়নি। বুধবার লেনদেন ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার নতুন উচ্চতায় গিয়েছিল, যা ছিল ২০১০ সালের ধসের পর সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৬৬ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এই সূচক প্রায় ৪০ মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি সূচক ছিল ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ১০২ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকা কমেছে।

ঢাকায় ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৬৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৯টির এবং কমেছে ১৪৯টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির দর।

খাতওয়ারী লেনদেন বিবেচনায় এদিন সবচেয়ে বাজে দিন গেছে বীমার শেয়ারের।

এই খাতের অনেক শেয়ারের ক্রেতাও ছিল না। সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন পর্যায়ে লেনদেন হয়েছে অনেক শেয়ার।

তালিকাভুক্ত ৫০টির মধ্যে ৩৫টি বীমা কোম্পানির দাম কমেছে, শতকরা হারে যা ৭০ শতাংশ।

এদিন ব্যাংকের শেয়ারেও ছিল খারাপ সময়। ৬৮ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে এই খাতে। তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ২১টিরই দাম কমেছে।

দরপতনের ধারা থেকে বাদ যায়নি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও।

এই খাতের ৫৭ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টির শেয়ারের দাম কমেছে।

বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির এবং বেক্সিমকো লিমিটেডসহ আরও কিছু শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারাতে সপ্তাহ শেষ হয়েছে।

বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৪৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, শতকরা হারে ৮৬ শতাংশ।

ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।

ডিএস৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২০৫ দশমিক শূণ্য ৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

বেক্সিমকো লিঃ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল পলিমার, ন্যাশনাল ফিড মিল, ড্রাগন সুয়েটারস, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স, রিং সাইন ও আলিফ ইন্ডাঃ।

দাম বাড়ার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

জাহিন স্পিনিং, ইনডেক্স এগ্রো, মীর আখতার, কপার টেক, এস আলম কোল্ড, দেশবন্ধু পলিমার, আলিফ ইন্ডাঃ, নূরানী ডাইং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও আরএকে সিরামিকস।

দাম কমার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, বিজিআইসি, ন্যাশনাল ফিড মিল, ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল হাউজিং, ইআইএল, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও জনতা ইন্স্যুরেন্স ।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৪৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৩৮ কোটি ১২ লাখ টাকা বেড়েছে।

এই বাজারে ১১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

সিএসইতে ৩১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দর।