বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিলামের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
Published : 27 Aug 2017, 09:40 PM
রোববার কমিশনের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করবে।
অর্থাৎ যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইতে হবে।
অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা গ্রহণের সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস।
পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন ও মেশিনারি আমদানি করবে কোম্পানিটি, যাতে ব্যয় করা হবে ১২০ কোটি টাকা।
আইপিওতে উত্তোলিত অর্থ থেকে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে। কারখানার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। ইনস্টলেশন কস্টে ব্যয় হবে ৩ কোটি টাকা। যন্ত্রাংশে খরচ হবে ৩ কোটি টাকা। ভূমি ও ভূমি উন্নয়নে খরচ হবে ৩ কোটি টাকা, আইপিওতে খরচ হবে ৫ কোটি টাকা।
কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা।
২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার প্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভসহ) ৩০ টাকা ৪৯ পয়সা, রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ ছাড়া ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা। শেয়ার প্রতি আয় ১ টাকা ৪৬ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৪৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ৪৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে বিএসইসি।
বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হবে সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য। এটি শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য হবে না। বন্ডটি ৭ বছরে পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে, যা শুধু প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কেনা যাবে।
উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মূলধন ভিত্তি শক্তিশালীকরণ, ব্যাসেল থ্রি এর শর্ত পূরণ এবং ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
হারুন সিকিউরিটিজকে জরিমানা
বিএসইসির রোববারের সভায় হারুন সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শন দলের প্রতিবেদনে হারুন সিকিউরিটিজের কনসলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতি পরিলক্ষিত হ্ওয়ায় সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ ভঙ্গ হয়েছে।
এছাড়া হারুন সিকিউরিটিজ তাদের গ্রাহকদের নগদ অল্থ হিসেবে ঋণ সুবিধা প্রদান করে মার্জিন রুলস ১৯৯৯ ভঙ্গ করেছে।
এ দুটি আইন লংঘন করায় সিকিউরিটিজ হাউজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।