দুই দিনের আন্দোলন ও তার জেরে হওয়া মামলায় কমিশনের সঙ্গে কর্মচারীদের সৃষ্ট দূরত্ব ঘোচাতে এ সভা আয়োজন করা হয়।
Published : 10 Mar 2025, 06:36 PM
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় হওয়া কর্মচারীদের আন্দোলনকে ‘দুঃখজনক অধ্যায়’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
সোমবার বিএসইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি বলেন, “গত ৫ মার্চের ঘটনা জাতীয় জীবনে চরম দুঃখজনক অধ্যায়। তবে ওই ঘটনায় বিএসইসির সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পৃক্ত নয়। আর যারা অংশগ্রহণ করেন, তাদের সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাননি।”
সোমবার সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে প্রধান কার্যালয়ে এ সভা করেন কমিশন চেয়ারম্যান। সেখানে তিন কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখও ছিলেন।
মূলত গত ৫ ও ৬ মার্চ বিএসইসিতে দুই দিনের হওয়া আন্দোলন ও তার জের ধরে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার জের ধরে কমিশন ও কর্মচারীদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা কমাতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সভার বিষয়ে বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসইসি।
সেখানে রাশেদ মাকসুদ বলেন, “গত ৫ ও ৬ মার্চের ঘটনা অনভিপ্রেত। কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মচারীর প্ররোচনায় সেটি ঘটেছে।
“এ ঘটনা প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের পাশাপাশি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এ ঘটনা দেশবিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা বিশ্বের কোনো রেগুলেটরি সংস্থায় প্রথম ঘটল।”
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, “সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন এজেন্সিও ঘটনা সম্পর্কে অবগত।
“আগামীতে সবার সহযোগিতায় বিএসইসি তার কার্যক্রম গতিশীলতার সঙ্গে চালিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।’’
গত ৪ মার্চ নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। পরের দিন আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বুধবার চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা অংশ। পরে সেনা নিরাপত্তায় কমিশন সদস্যরা কার্যালয় ছাড়েন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে কর্মবিরতির মধ্যেই পরের দিন কমিশনে গিয়ে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চুল ছাড় না দেওয়ার’ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
পরে বিএসইসির একাধিক নির্বাহী পরিচালকসহ ১৬ জনের নামে মামলা হলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কোনোরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতি বাদ দিয়ে রোববার কাজে ফেরেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন বেলা ১১টার দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সিসিএ, সিডিবিএল, সিসিবিএল, বিএমবিএর প্রতিনিধিরাও তার সঙ্গে ছিলেন।