এর আগে টানা ছয় দিন নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।
Published : 15 Dec 2024, 05:03 PM
দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক কর্মদিবসের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
এর মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিন পতনের বৃত্ত থেকে বের হলো ডিএসই।
রোববার সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজার মূলধনেও; এক দিনে বেড়েছে তিন হাজার ৫১১ কোটি টাকা।
সূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে ছিল ৩৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এর আগে টানা ছয় দিন নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরার পেছনে ভূমিকা রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) নতুন বিনিয়োগ।
চার শতাংশ বিশেষ সুদহারে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণের অর্থ বিনিয়োগ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই কারণে ডিএসইর মোট লেনদেন খুব একটা না বাড়লেও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়ে যায়।
নতুন বিনিয়োগ ঢোকায় লগ্নিকারীরা শেয়ার হাতবদল বাড়াতে শুরু করেন। লেনদেনে সকালের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে শেষ পর্যন্ত।
মূলত ওই সময় বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী আইসিবির নতুন বিনিয়োগের আভাস পান। ফলে দুপুরের পর থেকে আরো গতি পায় লেনদেন। দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স থামে ৫ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে।
রোববার ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত সিংহভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই শ্রেণির ২২৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর বাড়ে ১৫৩টির; কমে ৪৩টির। আগের দিনের দরে লেনদেন হয় ৩৩টির।
আইসিবির চেয়ারম্যান অ্যধাপক আবু আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমক বলেন, “আইসিবি তো বিনিয়োগ শুরু করেছে। আমরা নীতিমালা করেছি, সে অনুযায়ী বিনিয়োগ করব।
“আশা করি এ বাজার ঘুরে দাঁড়াবে; একটু সময় লাগছে আর কি! বাজারে তো অন্য আরো অনেকে আছে, তাদেরও সক্রিয় সহযোগিতা লাগবে।”
খাতভিত্তিক লেনদেনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোয় মিশ্র ধারায় লেনদেন হয়েছে। ৫৮ শতাংশের দর বাড়ার উল্টো প্রবণতা ছিল ৩৫ শতাংশে। আগের দরে লেনদেন করে ৬ শতাংশ কোম্পানি।
মিশ্র ধারায় লেনদেন হয় ব্যাংক, বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতেও। একক খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বীমা ও মিউচুয়াল ফান্ড।
মোট লেনদেনের মধ্যে সর্বোচচ ৯১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৪২ শতাংশ লেনদেন করে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। এই লেনদেন আগের দিনের প্রায় দ্বিগুণ।
লেনদেন বেড়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোতেও।
দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনে আসা ৩৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়ে ২৩২টির, কমে যায় ৮৯টির। অপরিবর্তিত ছিল ৬৯টির লেনদেন।
ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শীর্ষ দর বৃদ্ধি কোম্পানির তালিকায় উঠে এসেছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, একমি ল্যাবরেটরিজ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানির তালিকায় রয়েছে ড্রাগন সোয়েটার্স, ওয়াটা কেমিক্যাল, এইচ আর টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্সটাইল ও এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।