Published : 06 May 2025, 04:59 PM
মৌলভিত্তির ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি হওয়ায় বড় ধরনের পতন থেকে রক্ষা পেল দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
মঙ্গলবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে হারিয়েছে ১২ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। আগের দিন সূচক ছিল ৪ হাজার ৯৬৪ পয়েন্ট।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন শুরু হয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। তবে সেই প্রবণতায় বিপরীতমুখী হয় পৌনে এক ঘণ্টার মাথায়। ওই সময় সূচক হারায় ৮ পয়েন্ট।
এরপর ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন বেড়ে গেলে সূচক আবার বাড়ে। বেলা পৌনে ১২টায় সেটি ৫ হাজার পয়েন্ট ছুঁই ছুঁই করলেও টেকেনি। বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় দিন শেষ হয় ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে।
ডিএসইর লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এদিন শেয়ার হাতবদল হয় ৫৪৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। আগের দিন হয় ৫৮৪ কোটি টাকা, যা ছিল গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মোট লেনদেনের প্রায় ২৫ শতাংশ বা ১৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয় ব্যাংক খাতে। স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংক খাতের শেয়ার হাদবদল হয় ৬০ থেকে ৮০ কোটি টাকার। আগের দিনও লেনদেন হয় ৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার।
৬১টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৩৬টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে ১৭টি ব্যাংক গত ২০২৪ সালের হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পেরেছে। তার মধ্যে সাতটি ব্যাংকের মুনাফা ছিল আশাব্যঞ্জক। কয়েকটির আমানত প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়।
অন্যদিকে ১৯ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বুধবার এসব ব্যাংকের পর্ষদ সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বার্ষিক প্রতিবেদন না আসায় সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সভা।
এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে। পরের কার্যদিবস অর্থাৎ গত রোববার বিনিয়োগকারীদের তা জানায় ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে।
গত সোমবার সব বিনিয়োগকারী ব্যাংকের খোঁজ-খবর নেওয়ার পর মঙ্গলবার এ খাতে শেয়ার হাতবদল বেড়ে যায়। লেনদেনে অংশ নেওয়া ব্যাংকের মধ্যে শেয়ার দর বাড়ে ২৭টির বা ৭৫ শতাংশের।
লেনদেনে আসা মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ইউনিট দর বাড়ে ৭২ শতাংশ বা ২৬টির।
লেনদেন তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এদিন লেনদেনে আসা ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বাড়ে ১১৬টির, কমে ২৫৩টির, আগের দরে লেনদেন হয় ২৮টির।
দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ তিন কোম্পানির তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে বারাকা পাওয়ার, এনআরবি ব্যাংক ও বসুন্ধরা পেপার মিল। আর দর হারানোয় শীর্ষে ছিল খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ও হাক্কানি পাল্প।