লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
Published : 27 Apr 2025, 05:30 PM
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে টানা পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখল দেশের বড় পুঁজিবাজার- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট। আগের দিন ছিল ৪ হাজার ৯৭২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট।
টানা পতনে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর গত বৃহস্পতিবার সূচক নামে ৫ হাজারের নিচে।
ডিএসইতে সবশেষ সূচকে উত্থান দেখা যায় গত ১০ এপ্রিল। সেদিন সূচক ছিল ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট; লেনদন হয় ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
রোববার সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ডিএসইতে। দিন শেষে শেয়ার হাতবদল হয় ৩৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার, যা আগের দিন ছিল ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ।
লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মূলত ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং ব্যাংক খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিবাচক হয় সূচক।
আগের কয়েক দিনের মত এদিন সকালে ঋণাত্মক ধারায় লেনদেন শুরু হয়ে চলে বেলা সাড়ে ১২টা পযর্ন্ত। এ সময় সূচক কমে ৫০ পয়েন্ট।
এরপর শেয়ার কেনা বাড়তে থাকলে সূচকও উঠতে থাকে। শেষ বেলায় তা আরও গতি পেলে দিন শেষে সূচক দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৯৫ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। বিনিয়োগকারীরাও হারানো ‘একটু একটু’ করে ফিরে পাচ্ছিলেন।
সেই উত্থান দুই সপ্তাহের বেশি টেকেনি। এরপর থেকে লেনদেন বাড়লেও সূচক চলে মিশ্র ধারায়। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বাজার।
সূচকের ওঠানামা ও দর পতনে বিনিয়োগকারীরা ফের সাইডলাইনে চলে যায়। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অস্থিরতাও পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গত অগাস্টে ৬ হাজার পয়েন্ট পার করা সূচক সাড়ে ৫ হাজারে নামে গত সেপ্টেম্বর শেষে।
গত রোজার মাসেও মিশ্র ধারায় লেনদেন করে পুঁজিবাজার। সূচক আরও কমে ৫ হাজার ২০০ এর ঘরে নেমে যায়।
বিনিয়োগকারীদের আশা ছিল ঈদের পর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে বাজার।
ডিএসইর তথ্য বলছে, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন শুরু হয়, যা চলে ১৫ দিনের বেশি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রোববার লেনদেনে আসা ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে দরে এগিয়েছে ২৩৫টি; পিছিয়েছে ৯৯টির; ৬৩টি ছিল আগেরর দিনের দরে।
এদিন লেনদেনে সর্বোচ্চ অবদান রাখে ব্যাংক খাত। এরপরই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার। তৃতীয় অব্স্থানে উঠে আসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে তিনে রয়েছে যথাক্রমে বসুন্ধরা পেপার মিলস, এস আলম কোল্ডরোল্ড স্টিল ও এভিন্স টেক্সটাইলস।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দর হারানোর তালিকায় রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ডেসকো ও মির আখতার।