ঈদের ছুটি শেষে প্রথম তিন দিন সূচক কমেছে আর সবশেষ তিন দিন বেড়েছে।
Published : 10 Apr 2025, 07:06 PM
সূচকে ওঠানামা থাকলেও ঈদের ছুটির পর একটু একটু করে লেনদেন বাড়ছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই); সপ্তাহের শেষ দিন যা ছিল দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে শেয়ার হাতবদল হয় ৫৪০ কোটি টাকার। সবশেষ ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি ৬০৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকে আগের দিনের চেয়ে যোগ হয় ৯ পয়েন্ট। দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে। রোজার ঈদের আগে সবশেষ কার্যদিবসে সূচক ছিল ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্ট। ছুটির পরে প্রথম তিন দিন সূচক হারায় ৩৪ পয়েন্ট। আর সবশেষ দুই দিনে সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মিশ্র ধারায় শেয়ার কেনাবেচা হয় ডিএসইতে। শুরুর
প্রথম আধা ঘণ্টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়লে সূচক সংশোধন হয় বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত। ফের কেনার চাপ কিছুটা বাড়লে সূচক বাড়তে থাকে। পৌনে ২টায় ৫ হাজার ২১৭ পয়েন্টে ওঠে। তবে শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে তা কমে ১৫ পয়েন্ট।
ঈদের প্রথম তিন দিন সূচক নেতিবাচক হলেও লেনদেন বাড়তে থাকার ধারা দেখা গেছে ডিএসইতে।
একটু একটু করে লেনদেন বাড়তে থাকায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে মনে করছেন ডিএসইর ব্রোকারেজগুরোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বিডার উদ্যোগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে দেশে বড়সড় বিনিয়োগ সম্মেলন হচ্ছে, তা একটি ইতিবাচক প্রভাব রাখছে বিনিয়োগকারিদের উপর। একারণে শেয়ার কেনার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে, ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বাড়ানো। এখন ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, তারই ফল হল লেনদেন বৃদ্ধি।
ছুটির পরে প্রথম দিনে গত রোববার ডিএসইতে ৪১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়, পরের দিন ৪৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং মঙ্গলবার তা আরো কিছুটা বেড়ে হয় ৪৮৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। পরদিন বুধবার তা ৫২৭ কোটি টাকা ছাড়াৎয়। এভাবে একটু একটু করে বাড়ছে লেনদেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৯টির শেয়ারের। এসময়ে দর কমে ১৬৮টির। শেয়ার ও ফান্ড মিলিয়ে আগের দরে লেনদেন হয় ৭৮টির।
লেনদেনে আসা খাতগুলোর মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেখা গেছে বস্ত্র খাতে। দিন শেষে এ খাতের লেনদেনে আসা শেয়ারের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশের দাম বেড়েছে।
এদিন শেয়ারদর বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন এবং বীমা খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিরও।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, একক খাত হিসেবে সার্বিক লেনদেনে প্রথম অবস্থানে চলে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাত। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে এ খাতে শেয়ার হাতবদল হয় ৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে শেয়ার লেনদেন হয় ৪৯ কোটি টাকার এবং বিবিধ খাতের শেয়ার হাদবদল হয় ৪৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বাড়ার শীর্ষে উঠে আসে ইস্টার্ন কেবলস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও ড্রাগন সোয়েটার।
ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় দর হারানোর শীর্ষে ছিল এফএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বারাকা পাওয়ার ও মিরাকল ইন্ডস্ট্রিজ।