৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর হারিয়েছে ১৯১টি কোম্পানি, বেড়েছে ১৫০টির দর। তবে সূচক বেড়েছে ৪১ পয়েন্ট।
Published : 19 Sep 2024, 07:31 PM
দর বৃদ্ধির তুলনায় দর হারানোর কোম্পানির সংখ্যা বেশি থাকলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে লেনদেনও।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর সাধারণ সূচক ৪১ পয়েন্ট বেড়েছে মূলত টেলিযোগাযোগ, ওষুধ ও রসায়ন ও প্রকৌশল খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণে।
আগের দিনও সূচক বেড়েছিল ১২ পয়েন্ট, অর্থাৎ টানা দুই দিনে বাড়ল ৫৩ পয়েন্ট।
সূচকে ১৬ পয়েন্ট যোগ করেছে গ্রামীণফোন, রবি বাড়িয়েছে প্রায় ৬ পয়েন্ট। এর বাইরে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইসলামী ব্যাংক, রেনাটা, ইউনিলিভার, বিকন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি ও ইউনাইটেড পাওয়ার সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৩৯ পয়েন্টের কাছাকাছি।
কিছুটা বেড়েছে লেনদেনও। হাতবদল হয়েছে ৫৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ৪১ কোটি টাকা বেশি।
লেনদেনে আসা ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর হারিয়েছে ১৯১টি কোম্পানি, বেড়েছে ১৫০টির দর। আগের দিনের দরে লেনদেন শেষ করেছে ৫৬টি কোম্পানি।
তবে সাধারণ বীমা খাতের ৭০ শতাংশ বা ৩০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। ব্যাংক খাতে বেড়েছে ৪৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর।
খাতওয়ারী লেনদেনে সবাইকে ছাড়িয়ে যায় ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১১১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে খাতটিতে যা মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এ খাতের কোম্পানির মধ্যে ২১ টি দর হারিয়ে এবং ১২টির দর বেড়ে লেনদেন শেষ করেছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাত অবদান রেখেছে লেনদেনের ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে টেলিকম খাত।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অন্য দুটি সূচকও। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়া সূচক ১২ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য
দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা হওয়া এসকে ট্রিমসের। ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ৮ শতাংশ বেড়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর। সাধারণ বিমা খাতের আরেক কোম্পানি ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার দরে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের চতুর্থ স্থানে থাকা গ্লোবাল হেভি ক্যামিকেলস গত মার্সে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ারে ৪ টাকা ১৭ পয়সা, ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ১৮ হাজার বেশি, ২০২২ সালে প্রায় ১৬ টাকা এবং ২০২৩ সালের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ না করা প্রিমিয়ার লিজিং কোম্পানি পঞ্চম স্থানে এবং লোকসানের কারণে টানা পাঁচ বছর লভ্যাংশ না দেওয়া ওসমানিয়া গ্লাস কোম্পানি ছিল ষষ্ঠ অবস্থানে। তিনটি কোম্পানির দরই বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
টেলিযোগাযোগ খাতের তিনটি কোম্পানিও ছিল শীর্ষ দশে। এর মধ্যে রবির দর ৫.১০ শতাংশ, গ্রামীণফোনের দর ৪.৫৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির দর বেড়েছে ৪.১৯ শতাংশ। শীর্ষ দশের নবম স্থানে থাকা কোম্পানিটি ছিল সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা।
পতনের শীর্ষে যারা
শুকনো পুকুরে মাছ চাষের ঘোষণা দিয়ে শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে ২২০ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কোটি টাকা জরিমানার খবরে কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ ছিল সবচেয়ে কম। ৯.৩৯ শতাংশ দর হারিয়েছে কোম্পানিটি।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন গ্রুপের দুই কোম্পানি। এর মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর হারিয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি ওরিয়ন পার্মা দর হারিয়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
আগের দিন ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
বিবিএস ক্যাবলস, নাহী অ্যালুমিনিয়ম, ইস্টার্ন ক্যাবলস, আজিজ পাইপস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ম, মাইডাস ফাইন্যান্স ও লিবরা ইনফিউশন ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে।