স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতির আপিল খারিজ করে দিয়েছে ফিফার আপিল কমিটি।
Published : 26 Jan 2024, 08:52 PM
আপিল করেও লাভ হয়নি লুইস রুবিয়ালেসের। মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর চুমু কাণ্ডের জন্য ফুটবল-সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম থেকে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরইএফএফ) সাবেক এই সভাপতির তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ফিফার আপিল কমিটি।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, উপস্থাপিত তথ্য বিশ্লেষণ ও শুনানি শেষে আপিল কমিটি আপিল খারিজ করার এবং রুবিয়ালেসের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফিফা আরও জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস) বা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করতে পারবেন রুবিয়ালেস।
বিশ্বকাপ ফাইনালে গত ২০ অগাস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। তবে উৎসবের মাঝেই বিতর্কিত কাণ্ড করে বসেন রুবিয়ালেস। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পদক পরিয়ে দেওয়ার সময় স্পেন দলের সব ফুটবলারকেই তিনি আলিঙ্গন করেন। গালে ও কপালে চুমু এঁকে দেন অনেকের। তবে ফরোয়ার্ড জেনিফার এরমোসোকে বেশ কিছুটা সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন তিনি।
ওই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন রুবিয়ালেস। সমালোচনাকারীদের প্রথমে ‘ইডিয়ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে সমালোচনার তীব্রতা বাড়লে বিতর্কিত ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। দাবি করেন, এরমোসোরও এতে সম্মতি ছিল। তবে এরমোসো পরিষ্কার করে বলেন, তার কোনো সম্মতি ছিল না।
চাপের মুখে গত সেপ্টেম্বরে আরইএফএফ সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রুবিয়ালেস। এরমোসো পরে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন।
ফিফা প্রাথমিকভাবে রুবিয়ালেসকে ৯০ দিনের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ফিফার শৃঙ্খলাবিধির ১৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের জন্য গত অক্টোবরে তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা জানায় সংস্থাটি।
গত সেপ্টেম্বরে মাদ্রিদের একটি আদালত রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং জবরদস্তির ফৌজদারি অভিযোগ বিবেচনা করে তাকে এরমোসোর ২০০ মিটারের মধ্যে যেতে বারণ করে দেয়। রুবিয়ালেস অভিযোগ অস্বীকার করলেও ফৌজদারি মামলার অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব দেন স্পেনের এক বিচারক।