‘রেফারি কেনার’ অভিযোগে বার্সেলোনা ও ক্লাবটির সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া স্প্যানিশ প্রসিকিউটরদের সঙ্গে যোগ দেবে রিয়াল মাদ্রিদ।
Published : 12 Mar 2023, 06:57 PM
অর্থের বিনিময়ে বার্সেলোনার রেফারিদের প্রভাবিত করার অভিযোগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা ও ক্লাবটির সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া স্প্যানিশ প্রসিকিউটরদের সঙ্গে যোগ দেবে মদ্রিদের ক্লাবটি।
‘রেফারি-বার্সা কেলেঙ্কারি’ নিয়ে আলোচনার জন্য রোববার বোর্ড সভা ডেকেছিল রিয়াল। প্রসিকিউটরদের ‘গুরুতর অভিযোগ’ হিসেবে অভিহিত করা বিষয়টির জন্য বার্সেলোনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপ ও স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
স্পেনের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস গত শুক্রবার বার্সেলোনার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানায়। বিচারক মামলাটি গ্রহণ করবেন কি-না, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
রিয়াল বিবৃতি দিয়ে বলেছে, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করা মাত্রই তারা স্প্যানিশ প্রসিকিউটরদের সঙ্গে যোগ দেবে।
১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্পেনের রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন হোসে মারিয়া এনরিকেস নেগরেইরা। ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নেগরেইরার কোম্পানি ‘ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ’-কে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে ৭৩ লাখ ইউরো দেওয়ার অভিযোগ আছে।
গত মাসে শুরুতে খবর বের হয়, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নেগরেইরার কোম্পানিকে ১৪ লাখ ইউরো দিয়েছে বার্সেলোনা।
প্রসিকিউটরদের দাবি, একটি গোপন চুক্তির মাধ্যমে এবং ‘অর্থের বিনিময়ে’ নেগরেইরা বার্সেলোনার ম্যাচে ‘রেফারিদের নেওয়া সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে’ ক্লাবটির পক্ষ নিয়েছিলেন।
বার্সেলোনার একজন কর্মকর্তা গত শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তারা ভেবেছিলেন যে প্রসিকিউটরদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ উঠবে এবং তিনি এটিকে “স্রেফ প্রাথমিক তদন্তমূলক অনুমান ছাড়া আর কিছুই নয়” বলে উল্লেখ করেন।
অর্থপ্রদানের ঘটনা প্রকাশের পরপর বার্সেলোনা বিবৃতি দিয়ে বলেছিল, অতীতে তারা বাইরের একজন টেকনিক্যাল পরামর্শকের সেবা নিয়েছিল। কোনো অন্যায় সুবিধা নেওয়ার কথা উড়িয়ে দেয় তারা।
অভিযোগ আছে, বার্সেলোনা তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রোসেল ও জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সহায়তায় নেগরেইরার সঙ্গে একটি ‘গোপনীয় মৌখিক চুক্তি’ করেছিল।
কাতালান ক্লাব, রোসেল, বার্তোমেউ, নেগরেইরা ও বার্সেলোনার অন্য দুই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খেলায় দুর্নীতি, অন্যায্য প্রশাসন এবং বাণিজ্যিক নথিতে মিথ্যা তথ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে।