ক্যামেরুন তো বটেই, এই মুহূর্তে আফ্রিকার সেরা গোলরক্ষকের একজন ধরা হয় আন্দ্রে ওনানাকে। কোচের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় সার্বিয়া ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ছেড়ে চলে যান ইন্টার মিলানের এই খেলোয়াড়। দলের জন্য এটি বড় ধাক্কা হলেও ওনানাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ নেই আফ্রিকান দলটির কোচ রিগোবার্ট সংয়ের।
তার মতে, খেলোয়াড়দের অভিভাবক হিসেবে দলের ভালো-মন্দ দেখভালের দায়িত্ব কার কাঁধেই বর্তায়।
‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে সোমবার সার্বিয়ার সঙ্গে ক্যামেরুনের ম্যাচটি ড্র হয় ৩-৩ গোলে। এই ম্যাচে খেলোয়াড়দের তালিকায় গোলরক্ষক ওনানাকে ‘অনুপস্থিত’ দেখানো হয়। তার জায়গায় খেলেন দেভিস এপাসি।
গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে ক্যামেরুনের ১-০ গোলে হারের ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন ওনানা।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ম্যাচের পর অনুশীলনে কোচের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ২৬ বছর বয়সী ওনানা। এরপরই তাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সার্বিয়া ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে ওনানার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সং বলেন, দলের চেয়ে কেউই বড় নয় এবং তিনি যা করেছেন তা ক্যামেরুনের মঙ্গলের জন্যই করেছেন।
“সে আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়, কিন্তু আমরা একটি প্রতিযোগিতায় রয়েছি এবং আমার ভূমিকা হল ব্যক্তির চেয়ে দলকে এগিয়ে রাখা। সে ইউরোপের সেরা গোলরক্ষকদের একজন। এটি তার পারফরম্যান্সের বিষয় নয়, তবে আপনার দলকে রক্ষা করতে হবে।”
“হয়তো আমাদের একটা শক্তিশালী বার্তা প্রয়োজন ছিল। এটি একটি বড় ঝুঁকি যা আমি নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি এই খেলোয়াড়দের বাবার মতো, তাই আমাকে যখন ঝুঁকি ও সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তখন আমি তা নিই এবং আমি যা করি তাতে অটল থাকি।”
ক্যামেরুনের হয়ে রেকর্ড ১৩৭ ম্যাচ খেলা সং বলেন, ওনানাকে আবার দলে ফেরার সুযোগ দেওয়া বা দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
তবে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, এরই মধ্যে স্কোয়াড ছেড়ে গেছেন ২৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক।