ক্রোয়াট কোচ জ্লাতকো দালিচের মতে, লিওনেল স্কালোনির দলটি ইতিহাসের সেরা দলগুলোর একটি।
Published : 13 Dec 2022, 04:25 PM
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে ফাইনালে উঠে যায় ক্রোয়েশিয়া। ২৪ বছর আগে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই সেমি-ফাইনালে উঠে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল দেশটি। হার না মানা মানসিকতয় কাতার বিশ্বকাপেও শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া ক্রোয়াটদের সামনে এবারের বাধা আর্জেন্টিনা। এই মহারন নিয়ে রোমাঞ্চিত ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচ। বললেন, মেসিদের হারাতে পারলে এটিই হবে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আরেক সেমি-ফাইনালিস্ট মরক্কোর পেছনে থেকে গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হয় ক্রোয়েশিয়া। শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে জাপানকে হারানোর পর রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকেও তারা হারিয়ে দেয় পেনাল্টি শুটআউটে।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
বিশ্ব সেরার মঞ্চে টানা দুই আসরে কয়েকটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দল হিসেবে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপ রানার্সআপ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়াইয়ে হয়তো তাদের মুখোমুখি হতে হবে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের।
৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতারে খেলতে এসে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচেই অঘটনের শিকার হয়, সৌদি আরবের কাছে হেরে যায় ২-১ গোলে। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমি-ফাইনালে উঠেছে তারা। সবশেষ চার ম্যাচে গোল করেছে ৯টি, গোল হজম করেছে তিনটি।
আসর এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দল হিসেবে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক মেসিও আছেন ভালো ফর্মে। এখন পর্যন্ত জালের দেখা পেয়েছেন ৪ বার।
তাই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে যে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে, তা জানেন দালিচ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার এই দলটি ইতিহাসের সেরা দলগুলোর কাতারেই থাকবে।
"আমরা তাদের বিশ্লেষণ করেছি, জানি তারা কীভাবে খেলে এবং কীভাবে খেলাটি এগিয়ে নিতে চায়, তবে বরাবরের মতোই আমি আশাবাদী। আমার খেলোয়াড়দের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।”
“ক্রোয়েশিয়া জিতলে এটি হবে সর্বকালের সেরা সাফল্য। ইতিহাসের সেরা দলগুলোর একটির বিপক্ষে খেলব আমরা, আমাদের ম্যাচটা উপভোগ করতে হবে।”
বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ সাক্ষাতে চার বছর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দালিচ মনে করেন, গুরুত্ব বিবেচনায় তাদের এবারে চ্যালেঞ্জ ভিন্ন হবে, কারণ দুই দলই লড়বে ফাইনালে জায়গা করে নিতে।
“ওই সময়ে ম্যাচটি ছিল গ্রুপ পর্বের, (বিশ্বকাপে টিকে থাকার ক্ষেত্রে) নির্ধারক ছিল না। না জিতলেও আমরা বাদ পরে যেতাম না। আমরা দৃঢ় মানসিকতার, লড়াকু ও শক্তিশালী দল এবং আমরা এভাবেই এগিয়ে যাব। আমাদের দুই দলের জন্যই ম্যাচটি দুর্দান্ত হতে যাচ্ছে। আমরা উভয় দলই অনেক ম্যাচ খেলেছি, লড়াইটা ফাইনালে যাওয়ার। প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেব না।”