কৌশলগত বিষয়ের চেয়ে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল সামনে রেখে মেয়েদের অনুপ্রাণিত করা, আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলার দিকে মনোযোগ বেশি দিতে চান সাইফুল বারী টিটু।
Published : 08 Mar 2024, 05:51 PM
রাউন্ড রবিন লিগের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব শেষ। সেরা দল হয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ভুটানকে হারানোর পর বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু এখন মেয়েদের মনোবল বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন বেশি।
নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে শুক্রবার ভুটানকে ৬-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। আগামী রোববার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে ভারতের; প্রথম পর্বে যাদের ৩-১ গোলে হারানোর স্মৃতি এখনও টাটকা।
ফাইনালের আগ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল দেওয়া দল ভারত; ১৮টি। বাংলাদেশ ১১টি দিয়ে হজম করেছে মাত্র একটি। বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় টিটু স্বস্তি প্রকাশ করলেন এ পর্বে সবচেয়ে কম গোল খাওয়া নিয়ে। বললেন, ফাইনালের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দল।
“আমরা মাত্র একটা গোল হজম করেছি। আগের দুই ম্যাচে ছয়টি (পাঁচটি) আর আজকে ছয়টি মিলিয়ে ১২টি (১১টি) গোল করেছি। আজকের ম্যাচটা খুব ট্রিকি ছিল; কেননা, একদিন পরই আমরা ফাইনাল খেলব। তো কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া যায় কিনা…এ ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা হয়েছে। কারণ, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মতো বিকল্প খেলোয়াড়, বিশেষ করে প্রীতির মতো খেলোয়াড় এই দলে নেই।”
“যাই হোক, এখন ফাইনাল। সেদিকেই তাকিয়ে আছি। সব খেলোয়াড় যেন সুস্থ থাকে, পুরো এফোর্ট দিতে পারে, সেভাবেই ওদেরকে তৈরি করা এখন গুরুত্বপূর্ণ।”
সবশেষ বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার (অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপ) ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। বিতর্ক ও অনেক নাটকীয়তার পর যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল উভয় দলকে। আবারও তারা মুখোমুখি শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। এ মুহূর্তে দলকে উজ্জীবিত করাই মূল কাজ বলে মনে করছেন টিটু।
“এই মেয়েদের বয়স যত বাড়বে, ততই ওরা বিষয়গুলো (কৌশলগত) বুঝে উঠবে। ছোট ছোট পাসে কিভাবে খেলতে হয়? যদি বল বাড়ালে হারিয়ে ফেলি- ওদের মনে এখনও এই ভয়টা আছে। আমার মনে হয়, ভুটান আমাদের খেলার জন্য যতটা জায়গা দিয়েছে, ভারত অতটা দিবে না। সেক্ষেত্রে আরও কুইক পাসিং খেলতে হবে; প্রয়োজনে লম্বা পাস দিতে হবে। আমরা বিল্ড-আপ গেম খেলতে পারব কিনা জানি না; কেননা, ভারত ভালো প্রেস করে খেলে।”
“সেক্ষেত্রে পাসিং ফুটবল খেলে যদি আমরা মাঠটা বড় করতে পারি...এটা আসলে আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। এ নিয়ে কিছুটা জড়তা মেয়েদের ছিল, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। ফাইনাল একটাই ম্যাচ। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মেয়েদেরকে আসলে সেভাবেই তৈরি করা যে…এটা ফাইনাল, জিতলেই তোমরা চ্যাম্পিয়ন, ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে। এখন আর মাঠের কাজ করা বিষয় নয়, মূল হচ্ছে ওদেরকে অনুপ্রাণিত করা। এ সময়ের মধ্যে আমরা সেটা করার চেষ্টাই করব।”