রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পেনাল্টি মিস করেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ।
Published : 09 Feb 2023, 02:09 AM
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো দারুণ। বিরতির আগে-পরের দুই গোলে এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। ব্যবধান কমিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিল আল আহলি। কিন্তু পেরে উঠল না মিশরের ক্লাবটি। শেষ দিকে আরও দুটি গোল করে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
মরক্কোর রাজধানী রাবাতে বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৪-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
স্কোরলাইন যতটা বলছে, ততটা একপেশে লড়াই অবশ্য ছিল না। ৯০ মিনিট পর্যন্তও স্কোরলাইন ছিল ২-১। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুটি গোল করে রিয়াল।
মাদ্রিদের দলটির হয়ে একটি করে গোল করেন ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদে ভালভেরদে, রদ্রিগো ও সের্হিও আরিবাস। মাঝে পেনাল্টি মিস করেন লুকা মদ্রিচ।
আগামী শনিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রিয়াল খেলবে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে, যারা আগের দিন প্রথম সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে হারায় লাতিন আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ফ্লামেঙ্গোকে।
নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমাসহ সাত জনকে চোটের কারণে হারানো রিয়াল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শুরুতে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ২৮তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পান ভিনিসিউস। স্বদেশি রদ্রিগোর পাসে বক্সে বল পেয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের কোনাকুনি শট লক্ষ্যে থাকেনি।
দুই মিনিট পর বাঁ দিকের টাচলাইনের কাছে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। সেখানে আরেক জনের বাধা এড়িয়ে এই উইঙ্গারের চিপ শটে বল কাছের পোস্টের বাইরের দিকে লাগে।
পরের মিনিটে প্রতি আক্রমণে ডান দিক থেকে আল আহলির হুসেইন এল শাহাতের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন।
বিরতির আগে ডেডলক ভাঙেন ভিনিসিউস। আল আহলির এক ডিফেন্ডারের ব্যাক-পাসে আলগা বল পেয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মদ্রিচের পাস ধরে বক্সে ঢুকে রদ্রিগোর নেওয়া শট শুরুতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। আলগা বল পেয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ভালভেরদে।
৬৫তম মিনিটে আলি মালউলের সফল স্পট-কিকে ব্যবধান কমায় আল আহলি। তাদের মিডফিল্ডার এল শাহাতকে রিয়ালের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
৭৯তম মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল আল আহলি। কর্নারে তাহের মোহামেদের হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন লুনিন।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে মদ্রিচের স্পট-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ভিনিসিউস বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আল আহলির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ করে দেন রদ্রিগো। দানি সেবাইয়োসের দারুণ ব্যাক-হিল ফ্লিকে বল পেয়ে গোকরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
শেষ মিনিটে ভিনিসিউসের বদলি নেমেই জালের দেখা পান ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আরিবাস। বড় জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।