মৌসুমের শুরু থেকে খারাপ সময় কাটানো লিভারপুল ও চেলসির মুখোমুখি লড়াইয়েও কেউ আলো ছড়াতে পারল না। সুযোগ মিলল খুব কম, তাও কাজে লাগাতে পারল না কেউ।
অ্যানফিল্ডে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাড়মেড়ে ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে এই দুই দলের অবস্থাই ভীষণ নাজুক। একের পর এক হোঁচটে লিগ টেবিলে ক্রমেই নিচে নেমেছে তারা।
লিগে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়শূন্য রইলো লিভারপুল, তার প্রথম দুটি হার। আর চেলসি একটি ড্র ও দুটি হারের পর গত ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল। এবার আবারও হারাল পয়েন্ট।
প্রিমিয়ার লিগে আগের দুই রাউন্ডে ব্রেন্টফোর্ড ও ব্রাইটনের মাঠে ধরাশায়ী হওয়া লিভারপুল এ দিন শুরুতেই গোল খেতে বসেছিল। তৃতীয় মিনিটে কর্নারের ফলশ্রুতিতে জালে বল পাঠান কাই হাভার্টজ। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
চাপ ধরে ৩২তম মিনিটে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবারও ভীতি ছড়ায় চেলসি। ডান দিক থেকে হাকিম জিয়াশের ফ্রি কিকে বল ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে চলে যায় ছয় গজ বক্সের মুখে। কদিন আগে মোনাকো থেকে আসা ফরাসি ডিফেন্ডার বেনোয়া বাদিয়াশিল হেড করেন, দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন।
ছন্দ খুঁজে ফেরা লিভারপুল ৩৭তম মিনিটে প্রথম কর্নার পায়। যদিও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি তারা।
কদিন আগে শাখতার দোনেৎস্ক ছেড়ে চেলসিতে যোগ দেওয়া মিখাইলো মুদ্রিককে ৫৫তম মিনিটে নামান কোচ। মাঠে নামার আট মিনিটের মধ্যে তিনি সুযোগ পান দলকে এগিয়ে নেওয়ার। দারুণ নৈপুণ্যে বক্সে প্রতিপক্ষের দুজনকে কাটিয়ে ইউক্রেনের এই মিডফিল্ডারের নেওয়া শট লাগে পাশের জালে।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে লিভারপুল। খুব ভালো না হলেও কয়েকটি হাফ চান্স তৈরি করে তারা; তবে তার কোনোটাই ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট হয়নি।
১৯ ম্যাচে সমান ৮টি করে জয় ও ৫টি করে ড্র নিয়ে এই দুই দলের পয়েন্ট সমান ২৯। গোল ব্যবধানে এগিয়ে আট নম্বরে লিভারপুল ও ১০ নম্বরে চেলসি। তাদের মাঝে আছে ব্রেন্টফোর্ড।
১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।
সিটির সমান ১৯টি করে ম্যাচ খেলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও নিউক্যাসল ইউনাইটেড ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে।
পাঁচ নম্বরে টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্ট ৩৩, তারা ম্যাচ খেলেছে ২০টি।