বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আগে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন দানি আলভেস।
Published : 17 Apr 2023, 10:36 PM
যৌন হয়রানির অভিযোগের মামলায় আরেক দফা সাক্ষ্য পরিবর্তন করেছেন দানি আলভেস। অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আর সেটি দুজনের সম্মতিতে হয়েছিল বলে দাবি এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের।
৩৯ বছর বয়সী আলভেস গত ২০ জানুয়ারি থেকে কারাবন্দি আছেন। তার অনুরোধেই বার্সেলোনায় সোমবার হাজির করা হয় তদন্ত পরিচালনাকারী বিচারকের সামনে।
তার আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আগে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আলভেস।
“তিনি (আলভেস) পরিষ্কার করেছেন যে, কী ঘটেছিল তা প্রাথমিকভাবে বলেননি এবং যৌন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন। কারণ তার একমাত্র অগ্রাধিকার ছিল বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করা।”
আলভেস বিচারককে বলেছেন যে, তার এবং অভিযোগকারীর মধ্যে তাৎক্ষণিক আগ্রহে এই ঘটনা ঘটেছিল।
“তিনি বলেছেন যে, বিশ্রামাগারের ভেতরে যা কিছু ঘটেছিল তা ছিল বিনামূল্যে এবং স্বেচ্ছায়। তারা প্রেম করেছিলেন এবং (অভিযোগকারী) কোনো সময় থামতে বলেননি”- বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনার কাম্প নউয়ের নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিলেন আলভেস। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
স্পেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনায় একটি নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। সম্মতি ছাড়াই আলভেস তার অন্তর্বাসের নিচের দিকে স্পর্শ করেন। ওই নারীর অভিযোগ, আলভেস তাকে চড় মারেন এবং নাইটক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
আলভেস এর আগে অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় টিভি চ্যানেল আন্তেনা থ্রি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ফুটবলার বলেছিলেন, ওই নারীকে তিনি চেনেন না।
ফেব্রুয়ারিতে আলভেসের মুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালত।
ভুক্তভোগী নারীর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী এবং প্রসিকিউটরদের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্যের জন্য অনুরোধে সাড়া দেননি।
স্পেনে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে চার থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
গ্রেফতার হওয়ার পর আলভেসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার তখনকার ক্লাব পুমাস। বার্সেলোনা, ইউভেন্তুস ও পিএসজির মতো ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার স্ত্রী জোয়ানা সানস।
গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কত্ব করেন আলভেস। ওই ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী অধিনায়ক বনে যান তিনি।