রিয়াল মাদ্রিদ দলটি যেন হয়ে উঠেছে ছোটখাটো হাসপাতাল। করিম বেনজেমা, থিবো কোর্তোয়াসহ ক্লাবটির নিয়মিতদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ভুগছেন চোট সমস্যায়। আসছে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের দল সাজানো তাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোচ কার্লো আনচেলত্তির জন্য।
প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার মিশরের দল আল আহলির মুখোমুখি হবে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচটি খেলতে সোমবার মরক্কোর উদ্দেশে স্পেন ছাড়ার কথা রিয়ালের খেলোয়াড়দের। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলের সঙ্গে যাবেন না গোলরক্ষক কোর্তোয়া, তারকা ফরোয়ার্ড বেনজেমা, নির্ভরযোগ্য লুকাস ভাসকেস এবং দুই ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও ও ফেরলদ মঁদি।
রিয়াল ফাইনালে উঠতে পারলে কোর্তোয়া, বেনজেমা ও মিলিতাওকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হয়তো পাওয়া যেতে পারে।
চোটের কারণে লম্বা সময় ধরেই দলের বাইরে ভাসকেস ও মঁদি। গত বৃহস্পতিবার লা লিগায় ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে পায়ে চোট পান বেনজেমা ও মিলিতাও। দুই দিন পর মায়োর্কার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের ম্যাচে খেলতে পারেননি তারা।
মায়োর্কা ম্যাচের আগে ওয়ার্ম-আপের সময় কুঁচকিতে চোট পান কোর্তোয়া। মেডিকেল পরীক্ষায় জানা যায়, এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী নয়।
কোর্তোয়া, বেনজেমা ও মিলিতাও চিকিৎসার জন্য মাদ্রিদে থাকবেন। সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে আশা করা হচ্ছে, সপ্তাহের শেষ দিকে মরক্কোয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা।
ক্লাব বিশ্বকাপের পর কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলবে রিয়াল। এরপর রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের সঙ্গে শেষ ষোলোর লড়াই। এসবের মাঝে তো লা লিগার ম্যাচ আছেই।
চোট-জর্জর দল নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের ঠাসা সূচিতে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হিমশিম খেতে হবে আনচেলত্তিকে। তবু সব শিরোপার জন্যই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথা বললেন রিয়াল কোচ।
“আমরা কোনো টুর্নামেন্টকেই বাদ দেব না, সবগুলোতেই আমরা (শিরোপার) কাছাকাছি আছি… কোপা দেল রেতে সেমি-ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলো, ক্লাব বিশ্বকাপে সেমিতে আছি।”
তবে এমন সূচি নিয়ে বেশ বিরক্ত আনচেলত্তি। খেলোয়াড়দের শারীরিক ক্লান্তির কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যত সূচি সাজানোর পরামর্শ দিলেন ইতালিয়ান এই কোচ।
“আমরা কখনোই কোনো ম্যাচ বাদ দিতে চাই না…কিন্তু সূচি আশ্চর্যজনক, থামাথামির নাম নেই। লা লিগা, ফিফা, উয়েফা, স্প্যানিশ এফএ সবাই নিজেদের ম্যাচ আয়োজন করতে চায়…তারা আমাদের একটি দিনও বিশ্রাম করতে দেবে না।”
“বিশ্রাম পেলে আমি বিরক্ত হই, তবে খেলোয়াড়রা তো ক্লান্ত হয়ে যায়…প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা সবসময় লড়াই করি। কিন্তু এই ঠাসা সূচির কারণে নিজেদের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের সবাইকে কিছু করতে হবে।”
ক্লাব বিশ্বকাপের আরেক সেমি-ফাইনালে মঙ্গলবার ব্রাজিলিয়ান দল ফ্লামেঙ্গো লড়বে সৌদি আরবের আল হিলালের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল মাঠে গড়াবে আগামী শনিবার।