লিগ শিরোপা জয়ের বছরের শেষটা একেবারেই ভালো হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। তাদের পারফরম্যান্স পূরণ করতে পারল না প্রত্যাশা। আর্লিং হলান্ড অবশ্য তার কাজটা করলেন ঠিকঠাক, দেখালেন জয়ের পথ। কিন্তু ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে ডেমারাই গ্রের দুর্দান্ত গোলে ইতিহাদ স্টেডিয়াম থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল এভারটন। প্রিমিয়ার লিগে শনিবারের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হলো।
এই নিয়ে লিগে সবশেষ তিন রাউন্ডে দুটিতে পয়েন্ট হারাল সিটি। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারের পর গত সপ্তাহে লিডস ইউনাইটেডের মাঠে জিতেছিল তারা। ঘরের মাঠে নেমে আবারও হোঁচট খেল চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ফাউলের শিকার হন হলান্ড। মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসাও নিতে হয় তার। তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই স্ট্রাইকারকে তা একটুও দমাতে পারেনি।
প্রতিপক্ষের জন্য ক্রমেই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা হলান্ড ২৪তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন। দারুণ পাসিং ফুটবলে শাণানো আক্রমণে রিয়াদ মাহরেজ ডান দিকে একজনকে কাটিয়ে বল বাড়ান পেনাল্টি স্পটের কাছে। আর প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে গোলটি করেন হলান্ড।
বিশ্বকাপ বিরতির পর লিগে টানা দুই ও সব মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে জালের দেখা পেলেন তরুণ এই তারকা। প্রিমিয়ার লিগে ১৫ ম্যাচে তার গোল হলো ২১টি; গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে তার চেয়ে ৮ গোল কম নিয়ে দুইয়ে টটেনহ্যান হটস্পারের হ্যারি কেইন।
আর সিটির জার্সিতে অভিষেক মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে তার গোল হলো ২৭টি।
৪৫তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান, কিন্তু সিটির পথে দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেভিন ডে ব্রুইনের দারুণ বাঁকানো ফ্রি কিকে জন স্টোন্সের ডাইভিং হেড লাগে পোস্টে।
অনেকটা সময় কোণঠাসা হয়ে থাকা এভারটন ৬৪তম মিনিটে গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নিয়েই সমতায় ফেরে।
নিজেদের সীমানায় প্রতিপক্ষের ভুল পাস ধরে আক্রমণে ওঠে তারা। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে একবার পিছলে যান গ্রে, তবে মুহূর্তেই উঠে একপলকে সামনে দেখে নেন দুর্দান্ত শট। দূরের পোস্ট দিয়ে বল খুঁজে পায় ঠিকানা।
৮২তম মিনিটে কাছ থেকে মাহরেজের শট ঠেকিয়ে সমতা ধরে রাখেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
আক্রমণে চাপ ধরে রাখলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না, তাই ৮৭তম মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নার্দো সিলভাকে তুলে ফিল ফোডেন ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী হুলিয়ান আলভারেসকে নামান সিটি কোচ।
যোগ করা সময় মেলে ১১ মিনিটি, কিন্তু এভারটনের দেয়াল আর ভাঙতে পারেনি হলান্ড-ডে ব্রুইনেরা।
১৬ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।
আর্সেনালের সামনে সুযোগ এখন ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার। ১৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।
দিনের আরেক ম্যাচে লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা নিউক্যাসল ইউনাইটেড ১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তারা ম্যাচ খেলেছে ১৬টি।
পাঁচে নেমে যাওয়া টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে ৩০। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে লিভারপুল।