কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে কঠিন বাস্তবতার কথাই ফুটে উঠল বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড এদেন আজারের কণ্ঠে।
Published : 24 Oct 2022, 08:09 PM
এদেন আজার, রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডে ব্রুইনে, ড্রিস মের্টেন্সদের বলা হয় বেলজিয়ামের ‘সোনালী প্রজন্ম’। এই তকমা দেওয়ার কারণগুলোর একটি রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদের তৃতীয় হওয়া। কিন্তু আজার এভাবে ভাবতে নারাজ। সোনালী সাফল্য পেলে তবেই না সোনালী প্রজন্ম-বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ডের ভাবনা এমনই!
২০১৫ সাল থেকে বেলজিয়ামকে নেতৃত্ব দেওয়া আজার তাই ২০১৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়ার প্রাপ্তিতে ভেসে যেতে চান না। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের সেরা অর্জনকে কাতারে ছাপিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তার।
কাতার বিশ্বকাপে একটু জটিল গ্রুপেই পড়েছে বেলজিয়াম। ‘এ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া, উন্নতির ধারাবাহিকতায় থাকা মরক্কো এবং বাছাইয়ে চমক উপহার দেওয়া কানাডা। আগামী ২৩ নভেম্বর কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্বের পথচলা শুরু করবে বেলজিয়াম।
ফিফা ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা, নিজেদের লক্ষ্য, ‘সোনালী প্রজন্ম’-এর তকমা এসব নিয়ে কথা বলেছেন আজার। সেখানে বাস্তবের শক্ত জমিনে পা রাখা এক ফরোয়ার্ডের প্রতিচ্ছবিই ভেসে উঠেছে ঘুরেফিরে।
“না (আমি নিজেদের সোনালী প্রজন্ম মনে করি না)। আমি মনে করি, যখন আমরা কিছু জিতব, তখন এমন বলা যাবে। অবশ্যই আমাদের অবিশ্বাস্য সব খেলোয়াড় আছে, কিন্তু এখনও আমরা কিছু জিতিনি।”
“যদি আমরা সত্যিই ‘সোনালী প্রজন্ম’-এই ডাকনাম পেতে চাই, তাহলে আমাদের এখনও কিছু একটা করা (সাফল্য পাওয়া) প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।”
আজার, মের্টেন্স, উইটসেলের মতো অনেকে বেলজিয়ামের হয়ে ১০০-এর বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। এই অভিজ্ঞতা কাতারে কাজে আসবে বলে বিশ্বাস আজারের।
“আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের দলে একটা গ্রুপ আছে, যারা আসলেই অনেক বছর ধরে একে অপরকে ভালোভাবে জানে। সবসময় কথা হয় ‘সোনালী প্রজন্ম’ নিয়ে, এর কিছু সত্যতাও আছে। আমরা প্রায় ১০ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি, আর এখন আমাদের দলে তরুণ খেলোয়াড়ও আছে।”
“আমাদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা গত আসরগুলোয় কাজে এসেছে। তাই আমি আশা করি, সামনে আরও কিছু দিন এর ধারাবাহিকতা থাকবে একইভাবে।”
চার বছর আগের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল বেলজিয়াম। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা; তমা মুনিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিলেন আজার। সেই স্মৃতি আজও অমলিন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ডের মনে।
“এত কাছে, তারপরও এত দূরে (সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়া)। কিন্তু এতদূর যেতে পারায় আমরা খুশি ছিলাম, আমরা হেরেছিলাম পরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দলটির বিপক্ষে। আমার মনে হয়, ওই ম্যাচ নিয়ে সবকিছুই ইতোমধ্যে বলা হয়ে গেছে। বিশ্বকাপে আমরা অবশ্যই সেরা ফুটবল খেলেছিলাম, কিন্তু আমরা জিততে পারিনি।”
“হয়ত এত ভালো না খেলার চেয়ে ওই ম্যাচ জয়কে প্রাধান্য দেওয়া যেত। তবে ফুটবলের দারুণ দিক হচ্ছে চার বছর পর পর নতুন একটা বিশ্বকাপ আসে, যেখানে আলো ছড়ানোর আরেকটি সুযোগ মেলে। এই বিশ্বকাপে আমাদের সবটুকু নিংড়ে দিতে হবে।”